মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দূর্গম একটি পাহাড়ি এলাকায় প্রবাসির বাড়িতে হানা দিয়েছে সংঘবদ্ধ সসস্ত্র ডাকাত দল। এসময় ডাকাতদলের ছুড়া গুলিতে সদ্যবিবাহিত এক মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতের মা ও ছোটভাইও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ফেব্রেুয়ারী) রাত ৮টার দিকে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি সাপেরগারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ডাকাত দলের ছূড়া গুলিতে নিহত প্রবাসী যুবকের নাম মো: নুরুন নবী (৩২)। তিনি ওই এলাকার মো: হাসান শরীফের ছেলে।
নিহতের ভাতিজা মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, এক মাস পূর্বে তাঁর চাচা মো: নুরুন নবী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। গত রোববার তাঁর বিয়ে হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর শাশুরবাড়ি থেকে পাঁচজন অতিথি বেড়াতে আসেন।
নিহতের বড়ভাই ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেহমানদের বিদায় জানিয়ে আমি ঘরে ফিরছিলাম। সেসময় মুখোশ পরিহিত বেশ কয়েকজন যুবক আমাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে। হাত-পা বেঁধে তারা আমাকে উপর্যপুরি মারধর করে মাটিতে ফেলে রাখে। এসময় ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল তাদের বসতঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়। পরে ডাকাত দলটি বাড়ির পিছনে রান্নাঘরের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এসময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আমার ভাই নুরুন নবী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের কোপে মা হাজেরা খাতুন (৮০) ও ছোটভাই মোজাম্মেল (২২) গুরুতর আহত হয়েছে। পরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে প্রবাসির বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল গহীণ পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা প্রবাসির বাড়িতে ডাকাতির সংবাদটি পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত যুবক নুরুন নবীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানান।