প্রকাশিত: ১১/০৬/২০১৬ ৭:২৫ এএম

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া.
পেকুয়ায় কর্মসৃজন কর্মসুচি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে একজন জামাত নেতাকে। ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচি কাজ বাস্তবায়ন চলছে পেকুয়ায়। চলতি ২০১৫-১৬অর্থ বছরে কাজ বাস্তবায়নে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ১,২ও ৩নং ওয়ার্ড়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ওই ইউনিয়নের জামাত নেতা মাওলানা ইদ্রিস নোমানী।

সরকারের দারিদ্র বিমোচন ও গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের জন্য জন প্রতিনিধিদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি পদে অর্ন্তভুক্তির নির্দেশনা রয়েছে। তবে চলতি বছরে পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত হতে পারেনি জনপ্রতিনিধিরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সরকারি নীতিমালার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান, সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তি, ইমাম প্রতিনিধিদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত রাখার নিয়ম রয়েছে।

এদিকে সরকারের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচি প্রকল্প নিয়ে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়র্ড়ে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ড়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ৩৬জন শ্রমিকের মধ্যে কাজে যোগদান করেন সল্পসংখ্যক শ্রমিক। অধিকাংশ শ্রমিকরা শুরু থেকে কাজে অংশ গ্রহন করেনি।

তাদের নামে মাষ্টার রোল ও পরিচয়পত্র সংযোজিত রয়েছে। প্রত্যেকের অনুকুলে ব্যাংক হিসাব চালু আছে। কাজে অংশ গ্রহন না করলেও নিয়োগকৃত শ্রমিকদের নিয়মিত হাজিরা লিখা হয়। শ্রমিকরা টাকা উত্তোলনের সময় নিয়োগকৃত শ্রমিকদের সব ডকুমেন্ট সরবরাহ করে হাতিয়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা অনুপস্থিত শ্রমিকদের টাকা কৌশলে উত্তোলন করে নিজেদের পকেট ভারী করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই তিন ওয়ার্ড়ের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচির প্রকল্প বাস্তাবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস নোমনী। তিনি জামাতের একজন নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের উপজেলা নেতা। বারবাকিয়া ইউনিয়নের মৌলভী বাজার ফারুকিয়া সি.মাদ্রাসার প্রভাষক। এ সুবাধে শিক্ষক কৌটায় তাকে এ পদে রাখা হয়েছে। শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ষ্টেশনে তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয় আছে। কর্মসৃজন কর্মসুচিতে তিনি প্রকল্প সভাপতি হলেও কাজে যেতে তার সময় থাকেনা।

একদিনের জন্যও তিনি কাজে দেখাভাল করতে যায়নি। তবে ঠিকই টাকা তার পকেটে যায়। শ্রমিক তালিকা ভুক্তির সময় যেসব তার অনুগত যারা নিয়মিত কাজে যোগদান করেনা এদেরকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অন্যদিকে অনুপস্থিতির সব টাকা যায় তার পকেটে। গতকাল শ্রক্রবার শিলখালী কর্মসুচি সব প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ হয়েছে। কিন্তু জামাত নেতা ইদ্রিস নোমানীর প্রকল্পে কোন শ্রমিক কাজে অংশ গ্রহন করেননি।

এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস নোমানী জানায় আমার প্রকল্পে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। যে সব সড়ক বিলুপ্তি হয়েছে কর্মসৃজনের মাধ্যমে এগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। অনিয়ম-দুর্নীতির কথা ঠিক নয়। সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করবেন। তিনি জামাত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। আমি এখন আ’লীগ করি।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...