উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতায় পৌঁছালেও তারা নিজেরাই বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গার বলছেন, রোহিঙ্গা মুসলমান হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হলে দেশে ফিরতে যেতে রাজি নয় তারা। অপরদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলাদেশে বিনামূল্যে সব ধরণের সহায়তা পাওয়ায় রোহিঙ্গারা ফেরত না যাওয়ার অজুহাত তুলরে পারে।
জাতিসংঘসহ বিশ্ব জনমতের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করেছে মিয়ানমার সরকার। এতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত যাবার একটা পথ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ চুক্তি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আগেও বেশ ক’বার এধরণের চুক্তি করে তা পালনে গড়িমসি করেছে মিয়ানমার সরকার। তাই এবারের চুক্তি নিয়েও সংশয় রয়েছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে।
এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ নাগরিক মর্যাদার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা।
গত ২৫শে আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর তাদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে খাবার-চিকিৎসা এবং বসতি স্থাপনসহ সব ধরণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। এসবের সুবিধার কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে টালবাহানা করতে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাতে ইন্ধন দেয়ার পাশাপাশি বাধার সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন।
বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে নতুন পুরাতন অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে। মূলত ১৯৯১ সাল থেকেই এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে স্থায়ী অবস্থান শুরু করেছিলো।