পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (৬ মার্চ) নিম্নকক্ষ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে ১৭৮ জন সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। খবর পিটিআই।
এদিকে পার্লামেন্টে যখন ভোটাভুটি চলছিল, তখন বাইরে সরকারের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং বিরোধী সদস্যরা আস্থা ভোট বর্জন করেন।
এর আগে, চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনে হেরে যান সরকারের অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ। এরপর নিজ থেকেই আস্থা ভোটের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আস্থা ভোটে জেতার জন্য পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে ১৭২ ভোটের প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজনের চেয়ে ৬ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি। পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কায়সার এ তথ্য জানান।
২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। ওই নির্বাচনে তার জোট ১৭৬ আসন পেয়েছিল।
আস্থা ভোট বর্জনের পর বিরোধীরা বলেছে, সিনেটে আবদুল হাফিজ শেখের পরাজয়ের মধ্য দিয়েই জাতীয় পরিষদে ইমরান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। এই আস্থা ভোট ছিল লোক দেখানো।
এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা শহিদ খান আব্বাসি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য এই আস্থা ভোট।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিরোধী নেতাদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তারা আব্বাসি, বিরোধী এক নারী ও এক সিনেটরের ওপর হামলা চালান।