প্রকাশিত: ০৬/০৯/২০২০ ২:১৩ পিএম

বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বুদ্ধ ধাতু জাদি বা স্বর্ণ জাদি পর্যটকদের জন্য আগামী ২ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের মহাসুখ প্রার্থনাপূরক বুদ্ধ ধাতু জাদির মহাথের উ গুণবদ্ধন পঞঞা (বানান উচ্চারণ পইয়া) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে স্বর্ণ জাদি।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানান, আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিন মাস বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত সংযমের মাস। বর্ষাবাস যাপনকালে ভিক্ষুগণ প্রতিটি অষ্টমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে প্রতিমোক্ষ আবৃত্তি, আপত্তি দেশনাসহ নানাবিধ বিনয়ভিত্তিক কর্ম সম্পাদন করেন। এ সময় তারা প্রতিটি উপসথ দিবসে গৃহীদের কাছেও ধর্মদেশনা করেন এবং গৃহীদের শীলাদি প্রদানসহ ধর্মীয় জীবনাচারে উপদেশনা প্রদান করেন।

এই সময়টুকু বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অতিবাহিত করে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা । তাই পর্যটক আগমনে আচার অনুষ্ঠানের যাতে কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটার জন্য আগামী ২ মাস বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তব্যরত ব্যক্তিরা।

আগস্টের ৩ তারিখ থেকে এ বর্ষাবাস শুরু হয় শেষ হবে আগামী নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে। আগস্ট মাসে লকডাউনের কারণে সব পর্যটনকেন্দ্রর সঙ্গে এ পর্যটনকেন্দ্রও বন্ধ ছিল। তবে লকডাউন উঠে গেলে বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিলেও বর্ষাবাসের কারণে ২ মাস এ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রেখেছে দায়িত্বরতরা। স্বর্ণ জাদি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই শত শত পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, বর্ষাবাস বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের আত্মবিশ্লেষণাত্মক এবং অধিষ্ঠানমূলক শিক্ষাব্রতবিশেষ। এ সময় ভিক্ষুরা বিধিবদ্ধ শিক্ষা ও একান্ত ধ্যান সমাধির চর্চা করেন। এ ব্রত জীবনকে সত্যিকার মুক্তির পথে নিয়ে যায়। বুদ্ধের সময় থেকেই এ ব্রত পালিত হয়ে আসছে। বুদ্ধদেব স্বয়ং রাজগৃহে অবস্থানকালে ভিক্ষুসংঘের জন্য এই বর্ষাবাস বিধান প্রবর্তন করেন।

পাঠকের মতামত