উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২/০২/২০২৩ ১২:৫৪ পিএম

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রণীত পরিবার পরিকল্পনা কৌশলপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফী আহমেদ।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি সহায়তায় এবং কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং এসআরএইচ ওয়ার্কিং গ্রুপের অংশগ্রহণে কৌশলপত্রটি গত বছর অক্টোবরে অনুমোদিত হয়।
সভায় জানানো হয়, কৌশলপত্রটি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং পার্শ্ববর্তী স্থানীয় নারীদের মধ্যেও গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিগুলোর চাহিদা বাড়ানোর রূপরেখা হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখুস, জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. বশিরুল আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের (পরিকল্পনা শাখা) যুগ্ম সচিব আব্দুস সালাম খান, লাইন ডিরেক্টর ডা. নুরুন্নাহার বেগম, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা নয়ন প্রমুখ।

প্রতিদিন ৯৫ রোহিঙ্গা শিশুর জন্মগত বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সভায় জানানো হয়, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে প্রতিদিন ৯৫ শিশুর জন্ম হয়। এ ছাড়া এইচআইভি/এইডসে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও মো. নাসির উদ্দিন অংশ নেন।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন ৯৫ শিশুর জন্ম হয়। ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১২ থেকে ১৩ লাখ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া কক্সবাজারে বিভিন্ন হোটেলে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী যৌনকর্মীর কাজে সক্রিয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস সি ও ডিপথেরিয়া রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রোগে এখন পর্যন্ত ৭১০ জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ রোহিঙ্গা এইচআইভি/এইডসে মারা গেছেন।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরসা, তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপসহ সাতটি ডাকাত দল রোহিঙ্গা এলাকায় সক্রিয়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ক্যাম্পের ওপর আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শূন্যরেখায় অবস্থিত বান্দরবানের তমব্রু কোনাপাড়া ক্যাম্পটিতে নিয়মিত টহল ও নজরদারি জোরদার করতে না পারার কারণে সেখানে আরসার সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।

প্রতিবেদনে ২০২১ ও ২০২২ সালে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে সার্বিক অপরাধ কিছু কমেছে বলে প্রতীয়মান হয়। তবে এ সময়ে বেড়েছে হত্যাকাণ্ড। ২০২১ সালে ২২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২টি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...