নিউজ ডেস্ক::
নবীগঞ্জ উপজেলায় ছেলের হাতে মা খূনের নেপথ্যে পরকীয়া প্রেম।পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে মাকে খুন করেছে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র আমির আহমদ। গতকাল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শেষে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে নিহতের ছেলে আমির আহমদ। আদালত তার জবানবন্ধী রেকর্ড করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মানসিক রোগী জাবিদ উল্লাহ স্ত্রী'র ও একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জরিফ উল্লাহর কন্যা আমিনা বেগম (আমেলা)-এর গলা কাটা লাশ বসত ঘর থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ।স্থানীয়রা জানান, নিহত আমিনা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে আমিনার ছেলে আমির ঘরে গিয়ে আমিনা বেগমকে কে বা কারা খুন করেছে বলে সুর চিৎকার করে। তার চিৎকার শোনে লোকজন এসে আমিনার গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।জানা গেছে আমেনা বেগমের স্বামী মানসিক রোগী হওয়ার কারণে স্বামী জাবিদ আলী ও তার ছেলে এক ঘরে থাকতেন এবং আমিনা বেগম একাই অন্য ঘরে থাকতেন। এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করা আমেনা বেগমের ছেলে আমির আহমেদ(১৭) থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । জিজ্ঞাসাবাদে মাকে খুন করেছে বলে জানায় ছেলে । এসময় নির্মম বর্ণনায় ছেলে জানায়, আমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে একা ঘরে বসবাস করে আসছেন। তার সাথে একজনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন সময়ে ফোনে কথা বলত বলে জানায় সে। তারপর পরকীয়ার সত্যতা পাওয়ার পর সে সহ্য করতে না পেরে মা আমেনা বেগমকে গত শুক্রবার রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায়ে রাত্রে ঘুমন্ত অবস্থায় চুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল রবিবার বিকালে আমেনা বেগম লাশ টুনাকান্দি গ্রামে দাফন করা হয়েছে।