প্রকাশিত: ২৯/০৫/২০২২ ৯:৩৮ এএম , আপডেট: ২৯/০৫/২০২২ ৯:৫৬ এএম

প্রশিক্ষণের জন্য গত ৯ মে নেদারল্যান্ডসে যায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) আট সদস্যের একটি দল। তাদের মধ্যে দুজন দেশে ফেরননি বলে জানান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তাদের ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরে ‘মিসিং রিপোর্ট’ করা হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি।

যারা দেশে ফেরেননি তাদের একজন রাসেল চন্দ্র দে। তার বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লাইন্না কাটা এলাকায়।
রাসেল দে’র বাড়িতে শনিবার বিকেলে যান দৈনিক কক্সবাজারের প্রতিবেদক। একতলার বাড়িতে রাসেলের স্ত্রী পম্পী রাণীকে নিয়ে থাকেন মা রেবা রাণী দে ও বাবা লক্ষণ চন্দ্র দে। পাশের বাড়িতে থাকেন রাসেলের বড় বোন কমলা পাল ও তার জামাই। সেখানে কথা হয় মা ও বড় বোনের সঙ্গে।
কমলা পাল বলেন, ‘২০ তারিখ রাসেল পম্পীর সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলে। স্ত্রীকে সে নানান কসমেটিকস কেনার কথা জানায়। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ২৫ মে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়, প্রশিক্ষণে যাওয়া টিমের ৬ সদস্য একদিন আগে (২৪ মে) দেশে ফিরছে। তবে রাসেল নিখোঁজ। বিষয়টি সেদিনই জানানো হয় দুবাই প্রবাসী ভাই সুভাষ চন্দ্রকে।

‘তবে সেদিন অনেক চেষ্টা করেও রাসেলের সঙ্গে সে (সুভাষ) যোগাযোগ করতে পারেনি। পর দিন ২৬ মে রাসেল নিজেই সুভাষকে ফোন করে। ফোনে সে জানায়, তার পুলিশের চাকরি ভালো লাগে না। তাই সেদেশে (নেদারল্যান্ডস) থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখন বড় ভাই তাকে বকাঝকা করলে সে ফোন কেটে দিয়ে তার (সুভাষের) নাম্বার বøক করে দেয়। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাসেল ২০১৬ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেয়। ২০২১ সালের জুনে সে বিয়ে করে। তার সংসারে তিন মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। এখন আমরা নিজেরায় বিপদে পড়ে গেলাম। তাকে বাবা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়ে পুলিশের চাকরিতে দিয়েছে।’
রাসেলের মা রেবা রাণী দে বলেন, ‘তার তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। সে কোথায় আমি জানি না। পরিবারের সঙ্গে সে যোগাযোগ করছে না। আমার ছেলেকে আমি কীভাবে পাব আপনারা বলেন।’
ব্যবসার কাজে মহেশখালী থাকায় রাসেলের বাবা লক্ষণ চন্দ্র দে’র সঙ্গে কথা বলা যায়নি। রাসেলের বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি তার স্ত্রী।
ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণ নিতে সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে সিএমপির দলটি যায় নেদারল্যান্ডসে। দলে ছিলেন একজন এসআই (সশস্ত্র), একজন নায়েক এবং পাঁচজন কনস্টেবল।
কনস্টেবল রাসেল ও শাহ আলমের না ফেরার বিষয়য়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফেরার আগের দিন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বের হয়ে যান তারা। এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গীরা কোনো খোঁজ দিতে পারেনি।
‘পুলিশ সদর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন নাকি কোথাও বিপদে পড়েছেন তা জানা যায়নি। পরিবারের সদস্যরাও তাদের ব্যাপারে জানেন না।’ আমির জাফর আরও জানান, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...