ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭/০১/২০২৩ ১০:০০ এএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে অস্ত্র-গুলি ও জঙ্গি সরঞ্জামসহ গ্রেফতার দু’জনকে জিজ্ঞাসাদের জন্যে রিমান্ডের আবেদন করেছেন থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে এ আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক মুনির হোসেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

গ্রেফতার দুজন হলেন আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সামরিক প্রধান সিলেটের মাকসুদুর রহমান ওরফে রনবির ওরফে মাসুদ (৪৪) ও সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাদারীপুরের আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলম ওরফে কয় (৪৪)। এ ছাড়া আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বাকী ৪/৫ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে এ মামলা করা হয়।
র্যা বের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) গোলাম মেহেদি এ মামলাটি করেন। যার নাইক্ষ্যংছড়ি থানা মামলা নং ৪৮৪ (৪)। মামলার আইও নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, তারা পরস্পর জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িত। দেশের অখন্ডতা ও স্বার্ভভৌমের প্রতি আঘাত করতে চারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এভাবে ১০ টি জঘন্য অপরাধে লিপ্ত তারা।

মামলা আরো বলা হয়, গোপনে খবর পেয়ে ঘটনার দিন ভোর ৬ টায় র্যা ব-১৫ এর একদল টিম অভিযান চালানোর সময় র্যা বকে লক্ষ্য করে ৯ রাউন্ড গুলি ছুটে এ জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিরা ১১ টি গুলি,২টি শুটারগান,১২ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল,নগদ টাকাসহ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও জঙ্গিকর্মকান্ডের সরঞ্জাম তো আছেই। সব মিলে তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকা জঙ্গি কমান্ডার।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে, আসামীরা পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফের) প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যা আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিও চিত্রে এই কেএনএফের একজন প্রশিক্ষককেও দেখা গেছে। কিন্তু মামলায় কেএনএফের কার নাম উল্লেখ করা হয় নি।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক মুনির হোসেন বলেন, তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞ আদালত এখনও তা মন্জুর করেন নি।
থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুনির হোসেন। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে। রিমান্ড মন্জুর হলে এর পর বিস্তাবিত জানা যাবে।

পাঠকের মতামত