ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২১/০২/২০২৩ ১১:৩৭ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক তরুণ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন গত ২৯ জানুয়ারি। কিন্তু এখনো তার লাশটি পড়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। কারণ তার পরিবার দাবি করছে সে হিন্দু আবার সহপাঠীরা দবি করছেন সে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়েছে। আর এ সমস্যার কারণে ২২দিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে এ যুবকের লাশ।

নিহত যুবকের সহপাঠীরা জানান, রতন ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর নগরীর লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এর পর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন। তাই মুসলিম হিসেবে তার মরদেহ দাফন করতে আগ্রহী সহপাঠীরা।

নিহতের মা সন্ধ্যা রাণী দাস বলেন, ‘সুজন আমার নাড়ি ছেঁড়া সন্তান।

আমার ছেলে মুসলমান হয়নি। যে হলফনামা দেখানো হচ্ছে সেটি ভুয়া। ছেলে আমার সঙ্গে থাকতো। সনাতন ধর্মের সবকিছু পালন করতো।

কেউ যদি হাজারো ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে সেটি আমার কাছে ভিত্তিহীন।
তবে হলফনামার বিষয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত যুবক ২০২০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নাম পরিবর্তন করে আহমাদ হয়েছে। যার নোটারি নম্বর- ১১০৫৪৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ছবিও রয়েছে। হলফনামামূলে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট সম্পাদন করেছি।

গত ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ ধর্ম শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ চমেক হাসপাতালের হিমাগারে রাখার নির্দেশ দেন। নিহত যুবকের নাম রতন দাস (২৯)। বাড়ি মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনো দাস ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাস। রতন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় মাকে নিয়ে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...