ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৯/০৬/২০২৩ ৭:৫৪ পিএম , আপডেট: ০৯/০৬/২০২৩ ৭:৫৫ পিএম
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক কারণে বিদ্যুৎ সংকট ও মূল্যস্ফীতির মতো দেশবাসীর কিছু অসুবিধা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এটা সাময়িক, বেশি দিন থাকবে না বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারপ্রধান।

শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩‘ এর ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট অগ্রগামী ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত অতি মহামারি করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সবার কষ্ট হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্ব এর কবলে পড়েছে। আমাদের সাধ্যমতো আমরা চেষ্টা করছি।

গত কয়েক দিনের ‍দুঃসহ গরম এবং ভয়াবহ লোডশেডিং প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, গত কয়েক দিনে যে পরিমাণ গরম পড়ছিল, আজকে সমাপনী অনুষ্ঠানে খেলতে গেলে অনেকের কষ্ট হতো, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহর মেহেরবানিতে মনে হয় এই বৃষ্টি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আশা করি অসুবিধা থাকবে না। আমি চাই বাংলাদেশ খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, এসব দিক থেকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে বিশ্ব ধর্ম মর্যাদা নিয়ে সব চলবে, কারণ ৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাব, এ বিশ্বাস থাকলে যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করা যায়। আমি মনে করি, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে নতুন মাত্রা যোগ হলো।

বাংলাদেশ একসময় বিশ্বকাপ খেলবে সেই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখান থেকেই আমরা একসময় বিশ্বকাপ খেলতে পারব। একদিন আমরা বিশ্বকাপ জয়ী হতে পারি। জিতেও আনতে পারি। সেভাবে মন-মানসিকতা ঠিক রেখে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই।

টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে আরও বলেন, এ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন বাংলাদেশব্যাপী একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা- এগুলোর মধ্য থেকে মানুষের মেধা বিকাশ হয়। ঠিক সেভাবে আমাদের দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে ও কর্তব্যবোধ বাড়ে। এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য আমি বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে উদ্যোগ নিয়ে দেশের সব জায়গায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এসব স্টেডিয়ামগুলোতে ১২ মাস খেলা যাবে। আমাদের দেশীয় খেলাগুলো যেন আরও বেশি চর্চা হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের যেন চর্চা হয়, আমি সেটাই চাই।

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফি উদ্দিন আহমেদ।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...