ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/১১/২০২২ ৯:৩৩ এএম

বিনোদন থেকে শিক্ষা, অন্ধকার থেকে আলোয়— সবখানে বই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন হতে পারে। বই ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনই বইয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন মিথুন-অন্তরা নবদম্পতি। তারা বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে বইকে বেছে নিয়েছেন।

কনে সুমাইয়া পারভীন অন্তরা। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল মিথুন। তিনি বর্তমানে একটি সরকারি ব্যাংকে কর্মরত। বর-কনে উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়।

অন্তরার বইয়ের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা, স্বর্ণালংকার, গয়নার পরিবর্তে বেছে নিয়েছেন ১০১টি বই। ব্যতিক্রমী সেই ইচ্ছে থেকেই তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।

গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। ব্যতিক্রমী এই দেনমোহরের চাহিদা অবাক করেছে বরপক্ষসহ সবাইকে। কনের ইচ্ছেতেই ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ভিন্নধর্মী এই দেনমোহর পরিশোধ করে বিয়ে হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানান বর-কনে দুজনই।

দেনমোহর হিসেবে বই নিয়ে সুমাইয়া পারভীন অন্তরা বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেনমোহর হিসেবে বই নেওয়ার। আমি আমার ইচ্ছের কথা বাবা-মাকে জানালে তারা প্রথমে অবাক হলেও আমার চিন্তার প্রশংসা করেন। আমার বাবা তখনই বইয়ের নাম সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকে আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি।’

অন্তরা আরও বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের আগেই আমার স্বামীকে দেনমোহর নিয়ে আমার চিন্তার কথা জানাই। তিনি শুনে প্রথমে অবাক হলেও আমার ইচ্ছে পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ১০১টি বই নগদ হস্তান্তর করেছেন।’

স্ত্রীর এমন ব্যতিক্রমী ভাবনা নিয়ে রুহুল মিথুন বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথা পাকাপাকি হলে আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান। এতে আমিসহ পরিবারের সবাই অবাক হই। পরে আমার পরিবার এই সিদ্ধান্তে মত দেন। তারা ১০১টি বইয়ের লিস্ট দেন। লিস্ট ধরে বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়েছে। তবে বিষয়টি খুবই উপভোগ করেছি।

তিনি বলেন, ‘বিয়ের আসরেই দেনমোহর পরিশোধ করি এবং আমরা দুজনেই বিষয়টি নিয়ে খুবই খুশি। বিয়ের পড়ানোর সময় কাজি প্রথমে এমন দেনমোহরে কিছুটা আপত্তি জানান। তবে সবাই মিলে তাকে বোঝানোর পর বই দেনমোহর হিসেবে রেখেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।’

বর্তমান এই ডিজিটাল সময়ে মিথুন-অন্তরার এই ব্যতিক্রমী মোহরানার বিয়ে যুবসমাজকে কাগজের বইপড়া ও সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে বলে জানান অনেকে

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...