উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭/১১/২০২২ ৯:৫৪ এএম , আপডেট: ২৭/১১/২০২২ ১০:০২ এএম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় করা মামলায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে (৪৮) প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২৩ নভেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ শনিবার বিকেলে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ।
মামলার তদন্ত করছেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (আইসি) সোহাগ রানা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্গম সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে নেমে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (রিজওয়ান রুশদী) খুন হয়েছেন। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা যাবে না।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী অভিযানে নামেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও ডিজিএফআইয়ের বিশেষ একটি দল। এ সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রিজওয়ান রুশদী। গুলিবিদ্ধ হন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। গুলিতে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা তরুণী সাজেদা বেগমও (২০) নিহত হন
ঘটনার দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোলাগুলিতে একজন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। রোহিঙ্গা মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছিল। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা বের করতে আমরা কাজ করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার এজাহারে আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনি ছাড়াও শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মাস্টার দিল মোহাম্মদ, সেক্রেটারি মৌলভি আরিফ, আরসা কমান্ডার ওস্তাদ খালেদ, মাওলানা মোস্তফা, আবদুর রহমান, আরসার সদস্য জুবায়ের, শাকের কাউসার, নোমান চৌধুরী, জিন্নাত উল্লাহ, লাল মোহাম্মদ, হাফিজ নুর, রহিম উল্লাহ, মৌলভি আজিজসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিরা সবাই মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। শূন্যরেখার ওই রোহিঙ্গা শিবির তাঁদের আস্তানা।

এ বিষয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তুমব্রু সীমান্ত থেকে কোনো অপরাধী যেন উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শূন্যরেখার ওই আশ্রয়শিবির বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে না। এ সুযোগে এখন সেটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ও মাদক কারবারিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। গত তিন মাসে উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অন্তত ১২ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...