উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০/১২/২০২২ ৯:৪৭ এএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে অবিষ্ফোরিত ১ মটারশেলের গোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ৩৪ বিজিবি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, সীমান্তের ৩৪ বিজিবির তুমব্রু বিজিবি ক্যম্পের দায়িত্ব পূর্ণ এলাকার লোকজন ১ টি বোমা সদৃশ্য একটি বস্তু দেখতে পান রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে। তারা পার্শ্ববর্তী তুমব্রু বিওপি কমান্ডারকে এ খবরটির জানালে তিনি বিকেলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। খবর পাঠান ৩৪ বিজিবি তার অধিনায়কের কাছে।
বিজিবি সূত্র জানান, অধিনায়কের নির্দেশে (১৯ ডিসেস্বর) সকালে একদল বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অবিষ্ফোরিত ১ টি মর্টারশেলের গোলা। আর তাও সীমান্ত পিলার ৩৫ এলাকায় তুমব্রু বিজিবি ক্যম্পের বিপরীত মিয়ানমারের কাটাতারের বেড়া সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রায় ৫০ গজ ভিতরে। যা অ-বিষ্ফোরিত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিধায় বাংলাদেশ বিজিবি বোমা বিশেষজ্ঞ টিমটির তা উদ্ধার বা বিষ্ফোরণ না ঘটিয়ে ফেরৎ আসে সেখান থেকে।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল মেহেদী হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, অবিষ্ফোরিত একটি মর্টারশেল সীমান্তে পড়ে থাকার খবর পেয়ে তার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়- মিয়ানমারে। তাই বিজিবির সদস্যদের এ বিষয়ে করার কিছু ই ছিলো না। তারা ফেরত আসে। তবে লোকজনকে সর্তক করে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসী বিপাকে। কেননা সীমান্তের এপারের অনেক শিশু ও প্রাণী ওপারে যায়, খেলা-ধুলা করে।

আর সে সময় ঐ মর্টারশেলটি বিষ্ফোরিত হলে কি-না হয়, সে চিন্তায় তারা বিপাকে পড়েছে। এ জন্যে এ পয়েন্টে স্থানীয় লোকজন কে সেদিকে না যেতে নিষেধ করে দেন বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিরা। এটা নিয়ে তারা সামান্য চিন্তিতও বটে।
সীমান্তের লোকজন এ প্রতিবেদককে আরো বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর ছোঁড়া অনেক মর্টারশেল সীমান্ত এলাকায় এই ভাবে আরো থাকতে পারে ধারণা করছেন তারা। যেমনটি দেখতে পাওয়া গেছে ৩৫ পিলার এলাকাটিতে । যেটা নিয়ে তুমব্রুর এ পয়েন্টে লোকজন বর্তমানে আতংকে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...