প্রকাশিত: ২২/০৪/২০২২ ১১:৩৫ এএম

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে ৬৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ভূমি জটিলতা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন এসব কাজ এখনো শেষ হয়নি। এসব কারণে ২০২৪ সালের আগে প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবুও রেলপথ মন্ত্রণালয় চলতি বছরই কক্সবাজারে ট্রেন নিয়ে যেতে পারবে ধরে নানা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। সে আলোকে কক্সবাজার রুটে কয়টি ট্রেন চলবে, সেই সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা।

সূত্র জানিয়েছে, এই রুটের মূল আকর্ষণ থাকবে পর্যটকেরা। তাই তাঁদের জন্য বিশেষ একটি ট্রেন রাখা হয়েছে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সরাসরি যাবে কক্সবাজার। ট্রেনটি শুধু চট্টগ্রাম থামবে। ঢাকা থেকে রাত ৯টায় ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে ভোর ৬টায়। পর্যটকদের মাত্র ৯ ঘণ্টায় পৌঁছায় দেবে। ট্রেনটিতে বিশেষ নিরাপত্তার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সব রকমের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

চট্টগ্রাম থেকেও সকাল-বিকেল দুটি পর্যটক ট্রেন যাবে কক্সবাজার। মাঝপথে থামবে শুধু চকরিয়ায়। দুই ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই দুটি ট্রেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত ৬ জোড়া লোকাল ট্রেনও চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামুতে থামবে।

শুধু পর্যটক নয়, কক্সবাজার যেহেতু অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল। তাই মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করার জন্যও মালবাহী ট্রেন দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে মন্ত্রণালয়। কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প চালু হলে পুরো বাংলাদেশের চিত্রই পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল কক্সবাজার। বিভিন্ন মৌসুম-তো আছেই, প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকেরা যাওয়া আসা করেন। ট্রেন চালু হলে শুধু এই রুট থেকেই সরকারের অনেক রাজস্ব আয় হবে। এ ছাড়া কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করার জন্য ব্যবসায়ীদেরও বিশেষ মাধ্যম হবে এই রুট।

তবে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা ভূমি অধিগ্রহণ। ১১ বছর আগে হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ পুরোপুরি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। যেসব এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে ওই সব এলাকায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না ভূমি মালিকেরা। এ ছাড়া রেললাইনের কাছে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ২২টি ওভারহেড ট্রান্সমিশন টাওয়ার এখনো পুরোপুরি সরানো হয়নি।

এ ছাড়া কাজের অগ্রগতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২০১০ সালে হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ এখনো ৬৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কাজ হয় ৮ শতাংশ।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...