ডেস্ক রিপোর্ট
পেকুয়ায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম'র (ডাব্লিউএফপি) আর্থিক অনুদানে সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহেবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল (এসএআরপিভি) এর তত্ত¡াবধানে পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক অনুদানের জন্য গত মে মাসের শুরুতেই এসএআরপিভি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তালিকা প্রণয়ণ করা হয়। যেখানে চকরিয়া-পেকুয়ার ২২৫০০ পরিবারকে এ ত্রাণ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টসূত্র।
তালিকা প্রণয়ণে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মগপাড়া এলাকার আমেনা বেগম বলেন, ত্রাণ কার্যক্রমের তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনপ্রীতির শিকার হয়ে চূড়ান্ত তালিকা হতে আমার নাম বাদ যায়।
আমেনা বেগমের অভিযোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উক্ত ইউপি সদস্যের একই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে জানায় একই এলাকার অছল্লিমা বেগম ও সবিকা বেগম। ৯ ওয়ার্ডেও এই অনিয়মের যাতাকলে ত্রাণ সহায়তা হতে বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মনোয়ারা বেগম নামের আরেক ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে বারবাকিয়া ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুল করিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এমপি'র নির্দেশে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের তেমন কোন ভূমিকা ছিলোনা।'
এদিকে উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নেও এ ত্রাণ কার্যক্রমের তালিকা প্রণয়নে নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুর জাহান, সালমা খাতুন, রওশন আরা, জিনুয়ারাসহ ভুক্তভোগী অনেকে।
তালিকা প্রণয়নে অসঙ্গতির বিষয়ে এসএআরপিভি'র চকরিয়া-পেকুয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মুহিদ বলেন, তালিকা প্রণয়নে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিলোনা। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা তালিকা সংগ্রহ করে শুধুমাত্র এ কার্যক্রমের বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছি।
প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী করোনা প্রকোপের কারণে হতদরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের আর্থিক সংকট নিরসনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সহায়তায় এসএআরপিভি এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের দায়িত্ব পায়। তালিকাভুক্ত প্রতি পরিবারকে চার দফায় নগদ ৪৫০০ টাকা ও ৬০ কেজি চাল দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টসূত্র।