মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
ট্রাফিক বিহীন কোটবাজার: তীব্র যানজট
প্রকাশিত - ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭ ১১:১৬ এএম
এম,এস রানা::
উখিয়ার ব্যস্ততম ও বানিজ্যিক ষ্টেশন কোটবাজারে বর্তমানে কোন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালনে না থাকায় তীব্র যানজটে কবলে পড়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জন জীবন।
যানজট নিরসনে লক্ষ্যে কোটবাজারের জন্য একজন ট্রাফিক নিয়োগ দিলেও উক্ত ট্রাফিক পুলিশ তার কর্মস্হলে দেখামেলেনা মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও তা হয় ক্ষনস্হায়ী বিজলী চঁমকানোর মত এই আছে এই নেই। অভিযোগ উঠেছে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে বৈধ- অবৈধ বিভিন্ন গাড়ী থেকে গনহারে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকায় এ পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উখিয়া উপজেলার বানিজ্যিক ও জনবহুল ব্যস্ততম কোটবাজার ষ্টেশন টি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ ইউনিয়ন কেন্দ্রীক এবং চৌরাস্তার মোড় হওয়াতে উক্ত ষ্টেশনে যানজট লেগে থাকে সারাক্ষন, যার কারনে প্রয়োজন পড়ে একজন সু-দক্ষ ট্রাফিকের। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্তমান ট্রাফিক চন্দন কে কোটবাজারের যানজট নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তীব্র যানজটের সময় তাকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে, যার কারনে স্হানীয় অনেক সচেতন ব্যক্তিদের লাটি হাতে যানজট নিরসনের চেষ্টা করতে দেখা যায়। অভিযোগ উঠেছে বিগত সময়ের সকল ট্রাফিক কে পেছনে ফেলে বর্তমান ট্রাফিক চন্দন চাঁদাবাজির শীর্ষ আসন দখল করে কোটবাজার কে যানজটের নগরীতে পরিনত করেছে। গত কয়েক মাস পুর্বে ট্রাফিক চন্দন তীব্র যানজটকে উপেক্ষা করে মোবাইলে কথা বলার কাজে ব্যস্ত থাকায় স্হানীয় এক যুবক যানজট মুক্ত করার পর মোবাইলে কথার অনুরোধ করায় তাকে হেনস্হা করে ছাড়ে। এ ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় তার অনুপস্হিতিতে ট্রাফিক সার্জেন শেখ আবু সাঈদ লাটি হাতে কোটবাজারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়া দৌড়ি করছে যানজট নিরেসনের জন্য, তিনি এক প্রকার অতিষ্ট হয়ে নিজ উদ্যোগে একজন কমিনিউটি পুলিশ কোটবাজার ষ্টেশন যানজট নিরেসনে দিলেও যথাযত পারিশ্রমিক না পাওয়ায় সেও চলে গেছে। এদিকে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কর্মস্হলে দায়িত্ব পালং করার নিয়ম থাকলেও ঐ ট্রাফিক পুলিশ কোটবাজারে দায়িত্ব পালন না করে উখিয়া সদর ষ্টেশন, মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়ার বাজার সহ বিভিন্ন স্হানে গিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে একাধিক, গাড়ি চালক ও মালিক সুত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে সার্জেন (টিএসআই) শেখ আবু সাঈদের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছি ফিরে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন উখিয়ার এই জনবহুল ষ্টেশন কোটবাজারকে যানজট মুক্ত রাখতে অন্তত দুজন ট্রাফিকের প্রয়োজন, প্রশাসন একজন ট্রাফিক দিলেও তার বিরুদ্বে কর্মফাঁকির অহরহ অভিযোগ রয়েছে। আশা করি দুজন ট্রাফিক কোটবাজারে নিয়োগ দিলে যানজট নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে জন গুরুত্বপুর্ন এ ষ্টেশন বাসী।
উখিয়া থানা বহুমুখী মটর চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ শাহজাহান বলেন, কোটবাজারে যানজটের মুল কারন গাড়ি চলাচলের অনুপাতে ষ্টেশনের উভয় পার্শে গড়ি পার্কিংয়ের কোন সু-ব্যবস্হা না থাকা, এ ছাড়াও কিছু অদক্ষ আনাড়ি চালক যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করার পাশা-পাশি নিয়োগ কৃত ট্রাফিক দায়িত্ব পালন না করে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকায় ভয়াবহ যানজটের অন্যতম কারন,। তিনি আরো বলেন, বদলী হওয়া সু-দক্ষ ট্রাফিক পিন্টু চন্দ্র দে যে ভাবে তার দায়িত্ব যথাযত পালন করেছিল, বর্তমান ট্রাফিক চন্দন তার অর্ধেক দায়িত্ব পালন করলেও কোটবাজারে যানজট নামের বিষপোঁড়া আর থাকবেনা। এদিকে
কোটবাজারে ট্রাফিক নিয়োগ দেয়ার পরও যথাযত দায়িত্ব পালন না করে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্বে বিভাগীয় ব্যবন্হা গ্রহন করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারে মহোদয়ের হস্তক্ষেপ ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে সচেতন মহল।
Copyright © 2024 UkhiyaNews.Com. All rights reserved.