ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০২৩ ৭:০২ এএম

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত নেপথ্যের কারণ কী তা নিশ্চিত হতে পারেনি।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়াও ৩ সদস্যের একটি সহায়ক কমিটি একযোগে এর কারণ নিশ্চিত হতে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশা করছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানান, সম্ভাব্য চারটি কারণকে সামনে রেখে গুরুত্বের সঙ্গে মামলার তদন্তকাজ চলছে।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মহেশখালী থানা পুলিশ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামে এক জেলেকে গ্রেপ্তারের পর সদর থানায় সোপর্দ করেছে। দোলোয়ার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার এস্তেফাজুল হকের ছেলে।

ওসি রফিকুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে দেলোয়ারের সম্পৃক্ততা আছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে এ মামলায় তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ীর এলাকার ট্রলারমালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলারের মাঝি করিম সিকদারকে আদালতে তোলা হয়।

কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদের আদালতে তোলা হলে করিম সিকদার জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। তবে কামাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এর আগে গত রবিবার বাঁশখালীর ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এই মামলায় ২৫ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মুনির বদরখালী এলাকার নুর নবীর ছেলে।

নাজিরারটেক এলাকার সমুদ্র উপকূলে ট্রলারের হিমঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মরদেহ নিয়ে এখন চলছে নানা আলোচনা। ধারণা করা হচ্ছে, ৭ এপ্রিল সাগরে গিয়ে নিখোঁজ থাকা ১৪ জেলের ১০ জনের মরদেহ হতে পারে এসব।

২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা মরদেহসহ ট্রলারটি উপকূলে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়েছে চারজনের মরদেহ ও একটি কঙ্কাল। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...