উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩/০১/২০২৩ ৯:৩৩ এএম
সেন্টমার্টিন জেডিঘাট/ ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী

পর্যটন মৌসুম যায় যায় অবস্থা। তারপরেও কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি মেলেনি। ফলে চলতি পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

১ অক্টোবর থেকে জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও মিয়ানমারের উত্তেজনা ও নাব্যতা-সংকটের কারণে এই পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দাবি জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে একটি করে জাহাজ চলাচল করলেও ভোগান্তি ও হয়রানির মুখে পড়েন পর্যটকেরা। চলতি সপ্তাহে তা চরমে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য-পরিবেশ ও স্থানীয়দের কথা বিবেচনা করে মূলত এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অন্যথায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন, চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করে। এসব জাহাজে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ করতেন। তবে এবার মিয়ানমারে সীমান্তে অস্থিতিশীল অবস্থা ও নাব্যতা-সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। শুধু বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন আর চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিনে দুটি জাহাজ চলাচল করছে।

জানা গেছে, গত মৌসুম থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এ নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোনো অনুমোদন মেলেনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই দুটি জাহাজে পর্যটকদের হয়রানি ও ভোগান্তি নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে
যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। সে হিসেবে চলতি বছরে জাহাজ চলাচলের নিশ্চয়তা নেই।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...