হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
১০ কদম র্যালী আর ৮ মিনিট মাইক ছাড়া ২ জন অফিসারের বক্তব্যের মাধ্যমে টেকনাফে ১০ মিনিটেই শেষ হয়েছে রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’। উপজেলা প্রশাসনের এহেন দায়সারা গোছের রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ পালনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং এমপি বদি সরকারী প্রাইমারী স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জহির হোসেন এমএ।
জানা যায়, মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ছিল রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত আমন্ত্রণপত্রে এবং ব্যানারে রাষ্ট্রিয় কর্মসুচীর মধ্যে ছিল সকাল ১০টায় টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে র্যালী ও আলোচনা সভা।
কিন্ত বাস্তবে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগন্য সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে র্যালী ইউএনও অফিসের সামনে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয় পর্যন্ত যান। স্থানটির দুরত্ব ১০ কদমের বেশী হবেনা। রাষ্ট্রিয় এ কর্মসুচীতে কোন জনপ্রতিনিধি দেখা যায়নি। অফিসারদের মধ্যে ছিলেন ইউএনও জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ সিরাজ উদ্দিন, এটিএফপিও শ্রুতি পূর্ণ চাকমা, একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরুল আবসার। এসময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিটিং। সেখানে উপস্থিত গণশিক্ষা কর্মসুচী শিক্ষকদের ডেকে এনে র্যালীতে অংশগ্রহণ করানো হয়। তাঁরা না আসলে র্যালীর অবস্থা আরও কাহিল হত। উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যাললের সামনে বট গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে মাইকবিহীন ইউএনও জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক আনুমানিক ৪ মিনিট এবং একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরুল আবসার ৪ মিনিট বক্তব্য দেন। ৮ মিনিট বক্তব্য, ১ মিনিট র্যালী, ১ মিনিট ফটো সেশন মোট ১০ মিনিটেই রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ শেষ।
রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ অনুষ্টানে অংশ নিতে যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং এমপি বদি সরকারী প্রাইমারী স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জহির হোসেন এমএ। শুরু হতে দেরী দেখে অতি নিকটে দোকানে চা পান করতে যান। উপজেলা পরিষদের মার্কেটের এই চায়ের দোকান এবং ইউএনও অফিস কাছাকাছি স্থানে। তিনি দোকানে বসে চা’র কাপে চুমুক দিয়েই জানতে পারেন দিন ব্যাপী কর্মসুচী শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের এহেন দায়সারা গোছের রাষ্ট্রিয় কর্মসুচী ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ পালনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন ‘ইতিপুর্বেও নবান্ন উৎসবসহ সরকার ঘোষিত বিভিন্ন দিবস এবং কর্মসুচী অত্যন্ত গুরুত্বহীন এবং দায়সারাভাবে করা হয়েছে। এতে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ এসব সরকারী কর্মসুচীতে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিসহ জনসাধারণকে জানাতে, সরকারী কর্মকান্ড ও উন্নয়ন তৎপরতা এবং প্রশংসনীয় অর্জন সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সরকারী বরাদ্দ থাকে। কিন্ত এভাবে দায়সারা ভাবে সরকারী দিবস এবং কর্মসুচী পালনের কারণে মানুষ দেশের মানুষ কিছুই জানতে পারছেনা’।