ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০২/২০২৩ ২:০১ পিএম , আপডেট: ২৪/০২/২০২৩ ২:০৯ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত আটজন রোগী শনাক্ত করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা। রোগীদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে। তবে রোগীদের সবাই এখন সুস্থ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ প্রেসক্লাবে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা জানান, গবাদিপশুর কাঁচা দুধ খাওয়ার প্রবণতা থেকে এ রোগ ছড়াচ্ছে। সচেতন না হলে সংক্রামক রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মতবিনিময় সভায় আইসিডিডিআরবির টেকনাফে অবস্থিত রেসপিরেটরি ডিজিজেস হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি সমন্বয়ক জিয়াউল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ এবং আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী আইরিন সুলতানা বক্তব্য দেন। এ সময় ব্রুসেলোসিস রোগ নিয়ে গবেষণার ফলাফল, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

আইসিডিডিআরবির রেসপিরেটরি ডিজিজ হাসপাতালের সমন্বয়ক জিয়াউল ইসলাম জানান, প্রায় ছয় মাসের গবেষণায় রোগীদের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে ১২০ রোগী ভর্তি হন। কিন্তু তাঁদের কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। পরে অন্যান্য রুটিন পরীক্ষার পাশাপাশি সংক্রমণের কারণ নির্ণয়ে রক্তের ট্রিপল অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে সাতজনের শরীরে ব্রুসেলোসিস রোগের জীবাণু শনাক্ত হয়। পরে আরও একজনের দেহে ব্রুসেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

জিয়াউল ইসলাম বলেন, রোগটি সাধারণত গবাদিপশুর হয়। তবে গরু, ছাগল বা মহিষের দুধ কাঁচা অবস্থায় পান করলে জীবাণুটি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। এ রোগের প্রধান উপসর্গ জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য ও দুর্বলতা। এখনই রোগটি প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা না গেলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী আইরিন সুলতানা বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই জানিয়েছেন, তাঁরা না ফুটিয়ে কাঁচা দুধ পান করেছেন। এ রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই গবাদিপশুর দুধ ফুটিয়ে পান করতে হবে।

পাঠকের মতামত