উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১/১০/২০২২ ৮:৩৮ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় ফিরোজ আহমেদ নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ফিরোজ টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
২১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার পরে পেট ব্যাথার কারণে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকজন। তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না দেওয়ায় সকালের দিকে মারা যান তিনি।
নিহতের স্বজনদের দাবি- চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কান্না করছেন। পরিস্থিতি অবনতি হলে কেন রেফার করে নাই বলে অভিযোগ করেছেন। দুজন চিকিৎসকের অবহেলায় ছিল তারা হলেন- ডা: সিনসিয়া ও শোভন দাস। ডা. সিনসিয়া ছিল কাল দিনের ডিউটিতে প্রথমে তার অবহেলা ছিল সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেননি। শুক্রবার সকালে ডা: শোভন দাস একটু দেখাও করে নাই রোগীর সাথে। সে কবে আসবে জানতে চাইলে নার্স বলে, স্যার বিশ্রামে আছে বলে ধমক দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা.শোভন দাস বলেন, মারা যাওয়া রোগীর অবস্থা ভালো ছিল কিন্তু তার জন্য একটা ঔষধ পাইনি। রোগীমারা যাওয়ার আগে আমি বিশ্রামে ছিলাম। তখন কি ডিউটি ছিল জানতে চাইলে বলেন, হ্যাঁ আমি কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলাম। ক্লান্তের কারণে একটু বিশ্রামে গিয়েছিলাম।
ফিরোজের বাবা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে একরাত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাকে ঠিক মতো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ডা.সিনসিয়া ও শোভন চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরা যদি বলতেন রোগীর অবস্থা ভালো না, তাহলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিয়ে যেতাম। ডাক্তারদের অবহেলার জন্যই আমার আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি আর কোন বাবা যেন চিকিৎসার না পেয়ে তার ছেলেকে না হারায়, সে প্রদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
একই পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল পিকলু নামের এক রোগীসহ আরো অনেকে জানান, ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
এ বিষয়ে ডাক্তার সিনতিয়া ছিদ্দিককে বার বার মুঠোফোনে কল করা হলে ,কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পেট ব্যাথার কারণে ফিরোজকে ভর্তি করেন। তখন তার রিপোর্ট ভালো ছিল। যদি অবস্থা অবনতি হয় তাকে কেন রেফার করা হয়নি দেয়া দরকার ছিল। এতে বুঝা যায় তাদের অবহেলা ছিল। আমি একজন কিভাবে পুরো হাসপাতাল সামাল দিব। যারা কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল, তারা এখন কান্না কান্নি করছে। তবে তিনি ডাক্তারদের অবহেলার কথাও স্বীকার করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি তার পেটে ব্যথা ছিল তার কারণে স্বজনরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওসি জানান, তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত