প্রকাশিত: ২২/০৪/২০২২ ৩:৪৭ এএম

জসিম মাহমুদ ::
বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে এক জালে বড় আকারের ১২০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে।এ মাছ লাল কোরাল ও ভেটকি দুই নামেই পরিচিত। তবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয় লোকজন এই মাছকে রাঙা ছইক্কা বা রাঙাচয় নামে চেনে।মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Lates calcarifer (লেটস ক্যালকেরিফার)।

টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন ও “এফবি রহমান” নামে একটি ট্রলারে প্রায় ১৫মণ ওজনের ১২০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। একেকটি মাছের ওজন প্রায় সাড়ে চার থেকে ছয় কেজি পযন্ত। এরমধ্যে মাছগুলো বিক্রির জন্য দাম হাঁকচ্ছেন তিন লাখ ৬০হাজার টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাছ ভর্তি ট্রলারটি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ফিসারিজ ঘাটে পৌছালে স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছগুলো দেখতে ভিড় করেন।শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আয়ুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন,গত বুধবার বেলা ১১টায় শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ফিশারিজ ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে তাঁর ট্রলারটি ছেড়ে যায়। ট্রলারচালক মোহাম্মদ আলী মাঝির নেতৃত্বে নয়জন মাঝিমাল্লা ছিলেন ট্রলারটিতে। একইদিন সন্ধ্যায় মৌলভীর শীল নামে এলাকায় সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে ট্রলারটি নোঙর করে জেলেরা জাল বসান। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জেলেরা মিলে জাল টানা শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি জাল টেনে উঠাতে সময় লাগে।এরমধ্যে ১২০টি লাল কোরাল জালে ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো ফিশারিজ ঘাটে নিয়ে এসে প্রতিমণ ২৪ হাজার টাকার দাম হাকাঁনো হলে শেষ পযন্ত ২০হাজার টাকা দামে ৩লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
ট্রলারের চালক মোহাম্মদ আলী মাঝি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচজন জেলে জাল তুলতে গিয়ে দেখেন, জাল টেনে তুলে আনা যাচ্ছে না।পরে ট্রলারে থাকা নয়জন মাঝিমাল্লার সবার সহায়তায় জাল তুলে দেখা যায়, বড় আকৃতির শতাধিক লাল কোরাল লাফালাফি করছে।হিসাব করে দেখা যায়, ১২০টি লাল কোরাল ও আরও ২৫-৩০কেজির অন্য প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে।প্রতিটি লাল কোরাল মাছের ওজন সাড়ে চার থেকে ছয় কেজি, একত্রে ওজন প্রায় ১৫মণ।অন্য প্রজাতির মাছগুলো ট্রলার মালিক ও জেলেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিলেও লাল কোরালগুলো বিক্রয় করা হচ্ছে।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ১২০টি মাছের প্রথমে দাম হাঁকা হয় তিন লাখ ৬০হাজার টাকা।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লালু অনেকেই দর–কষাকষি করে তিন লাখ টাকায় কিনেছেন। তবে স্থানীয় বাজারের প্রতি কেজি বিক্রয় হয় ৫০০-৬০০ টাকায়। এখন মাছগুলো বরফ দিয়ে প্যাকেট করে উপযুক্ত দাম পাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হবে।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, লাল কোরাল গভীর সমুদ্রের মাছ।অন্য জেলেরাও লাল কোরাল মাছ ধরতে সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ওই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে কিছু কিছু মাছ ধরা পড়ছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুস্বাদু কোরাল কিংবা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী।বঙ্গোপসাগরের গভীর জলের মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এ জন্য এই মাছের দাম কিছুটা বেশি। মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...