আলোচিত ইউটিউবার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি শহীদ পরিবার ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের কয়েকটি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।
স্ট্যাটাসে পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ রাতিনের ছোট ভাইকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাতে পরিবারের অনুরোধে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেন। তার ঘনিষ্ঠজন এমাজউদ্দীন ফরহাদের সহযোগিতায় ছেলেটিকে বিনা লাভে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে তার আকামা ও চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া, টেকনাফে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত একরামুল হকের পরিবারের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, একরামের স্ত্রী মেয়েদের নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস ও বড় মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একরামের মেয়েকে ফুল স্কলারশিপে ভর্তি করিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি পরিবারটিকে চট্টগ্রামে রিলোকেট করা হয়েছে এবং চার মাসের বাড়িভাড়া অগ্রীম প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিনাকী ভট্টাচার্য আরও লেখেন, শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিতে অনেকেই আগ্রহী থাকেন, কিন্তু সঠিক পথ না পাওয়ায় তারা উদ্যোগী হতে পারেন না। তার ভাষায়, “একটা সমাজের জন্য এক-দুই হাজার পরিবারের পূর্ণ দায়িত্ব নেয়া কোনো বড় ব্যাপার নয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি ‘জুলাই ফাউন্ডেশন’-এর দায়িত্বশীল ভূমিকার ঘাটতির কথাও উল্লেখ করেন।
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, “চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করলেও সেটা আমাদের হৃদয়ে লেখা আছে।”
তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।