উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায় ও প্রধান কার্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদলের পর এবার শাখা পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংকটির ৩১৮টি শাখার মধ্যে অন্তত ১২৯টি শাখা ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। সাধারণভাবে কোনো ব্যাংকে একযোগে এতো সংখ্যক শাখা ব্যবস্থাপককে বদলি করতে দেখা যায় না।
জানা গেছে, সব চেয়ে বেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও নোয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন শাখায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক শাখার ব্যবস্থাপক থেকে আরেক শাখায় ব্যবস্থাপক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বিভিন্ন শাখায় নেওয়া হয়েছে। আবার দু’একটি ক্ষেত্রে শাখা থেকে নেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়ে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সব চেয়ে বেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৩টি শাখায়। এছাড়া ঢাকার ১৮টি, নোয়াখালীর ৭টি, কক্সবাজারের ৫টি, সিলেটের চারটি শাখায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি করে শাখায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরও পরিবর্তন এসেছে যশোর, ঝিনাইদহ, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, পটুয়াখালী, ভোলার লালমোহন, পাবনা, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, বাগেরহাট, বাগেরহাটের মংলা, মাদারীপুরের ট্যাকেরহাট, নাটোরের চাচকৈর, ঠাকুরগাঁও ২টি, বগুড়ার মহস্থান গড়, নন্দীগ্রাম এবং সান্তাহারের এসএমই শাখা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, খুলনা শাখা, খুলনার ফুলতলার এসএমই শাখা, গাজীপুরের কোনাবাড়ী, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, যশোরের নওয়াপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর এসএমই শাখা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার এসএমই শাখা, নেত্রকোণা, শেরপুর, কুড়িগ্রামের রৌমারি, নীলফামারীর জলঢাকা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক পদে রদবদল করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত