
জসিম উদ্দিন টিপু,টেকনাফ::
টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী মাদরাসায় ৩টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জুলাই গেইট এবং দরজার তালা না ভেঙ্গে কৌশলে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মাদরাসা সুত্রে জানাগেছে।
জানাযায়, ২৬জুলাই (শনিবার) মাদরাসার ২য় তলাস্থ আইসিটি রোম থেকে ৩টি ল্যাপটপ চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগে রমজান মাসেও ৩টি ল্যাপটপ চুরির হয়েছিল বলে মাদরাসা সুত্র জানায়।
এদিকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় অনেকে হতবাক হলেও স্থানীয়দের মাঝে এক ধরণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাদরাসার প্রধান ভবনস্থ ২য় তলায় আইসিটি রোমে ল্যাপটপ গুলি সংরক্ষিত ছিল।
২৬ জুলাই (শনিবার) ৩টি ল্যাপটপ চুরি হলেও ভবনের প্রধান গেইট এবং ২য় তলাস্থ আইসিটি বিভাগের গেইটের তালা ঠিকই অক্ষত ছিল। এছাড়া আইসিটি রোমের তালাও অক্ষত ছিল বলে মাদরাসার নাইট গার্ড নুরুল আলম দাবী করেন।
প্রধান এবং সেকেন্ড গেইটের তালা না ভেঙ্গে কিভাবে আইসিটি রোমে চুরির ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে অনেককে ভাবিয়ে তুলছেন। এর আগে গেল রমজান মাসেও একই কায়দায় ৩টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। দুই দফায় ৬টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় অভিভাবক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সচেতন মহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দ্রুত সময়ে ল্যাপটপ উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে মাদরাসার চারিদিকে সুরক্ষিত বাউন্ডারী প্রতি তলায় মজবুত গেইট ও নৈশ প্রহরী থাকার পরও আইসিটি রোম থেকে রহস্যজনকভাবে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সচেতন মহলের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এতবড় একটি চুরির ঘটনার পর মাদরাসার কর্তা ব্যাক্তি তথা ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ পরিদর্শনে না আসায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া করতে দেখা গেছে। অভিভাবকদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন,উনি কেন আসবেন? উনিতো গত ৬মাসে ১৫দিনও মাদরাসায় আসেননি। কিন্তু না এসেও কারণে অকারণে দস্তখত ঠিকই করেছেন। তদারকির অভাবে মাদরাসাটি দিন দিন ধ্বংসের খাদে পড়েছেন বলে জনপ্রতিনিধি এবং সচেতন অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
মাদরসার দপ্তরী মুহাম্মদ ইউসুফ জানান,প্রধাব ভবনের গেইট ও দ্বিতীয় তলাস্থ আইসিটি বিভাগের গেইটের কোন ধরণের তালা না ভেঙ্গে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আইসিটি রোমের তালাও অক্ষত আছে। তবে ভেতরের নাট খুলে কৌশলে ঢুকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। তাঁর ব্যবহ্রত মোবাইলে রিং হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ও হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটি সত্য বলে জানিয়েছেন। ল্যাপটপ চুরির ঘটনা খুবই দু:খজনক জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাদী হয়ে আজ (২৭ জুলাই) টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করবেন বলে জানান। এছাড়া যে কোন মূল্যে তিনি মাদরাসা থেকে চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
পাঠকের মতামত