সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলার দায়িত্বশীল নেতা এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী পারিবারিক সফর শেষে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরতেই তাকে ফুলেল অভ্যর্থনায় স্বাগত জানান জেলা আমীর অধ্যক্ষ নূর আহমদ আনোয়ারীসহ জেলা–উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা। বিদেশ থেকে ফিরে আসা এই নেতা কেবল একটি রাজনৈতিক পরিচয় নন, বরং অনেকের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু।
শাহজালাল চৌধুরীর রাজনীতিতে পথচলা শুরুই হয়েছিল সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে। উখিয়া–টেকনাফ আসন থেকে জামায়াতের পক্ষে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আপন বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবুও তিনি পিছপা হননি।
যে কোনও জটিল পরিস্থিতিতেও সংগঠনের অবস্থান ধরে রাখা, নেতাকর্মীদের নিরাপদে রাখা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো—এসব ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সামনের সারির মানুষ। তার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য ছিল একটাই: যা বিশ্বাস করেন, তা স্পষ্টভাবে বলেন; যে দায়িত্ব নেন, তা শেষ পর্যন্ত পালন করেন।
এডভোকেট হিসেবে তার পরিচিতি আরও একটি দিক খুলে দেয়—ন্যায়বিচারের প্রতি অটল অবস্থান। স্থানীয় মানুষের অনেক জটিল আইনি ঝামেলায় তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সহায়তা করেছেন, আর্থসামাজিকভাবে দুর্বল মানুষদের পাশে থেকেছেন। যে কারণে তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন; অনেকের চোখে একজন ন্যায়বিচারক, একজন ভরসাযোগ্য মানুষ।
তার ফিরে আসা তাই কেবল আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা নয়—এটি ঠিক যেন নিজের জায়গায় নিজের মানুষ ফিরে আসা। স্থানীয় নেতারা মনে করেন, আগামীর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে শাহজালাল চৌধুরীর অভিজ্ঞতা, নৈতিক দৃঢ়তা এবং নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য তাদের জন্য বড় সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।
এখন দেখার বিষয়—নতুন এই অধ্যায়ে তিনি কোন দিকটিকে অগ্রাধিকার দেন। সংগঠনের দায়িত্ব, এলাকার সামাজিক বাস্তবতা, ন্যায়ের পক্ষে তার অবস্থান—সব মিলে আবারও তিনি কি নেতৃত্বের কেন্দ্রে ফিরে আসবেন? পাঠকের মনেও সেই প্রশ্ন, আর অপেক্ষার জায়গাটাই সবচেয়ে বড় আগ্রহ তৈরি করে রেখেছে