ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩/০৩/২০২৩ ১১:৩৭ এএম

আপনি নিশ্চয়ই রাজস্থানের মরুভূমিতে উট চলাচল করতে দেখেছেন। উটকে ‘মরুভূমির জাহাজ’ বলা হয়।

উটকে শান্ত প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রতীক বলা হয়। তবে উট নিয়ে এমন অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। এরই মধ্যে একটি হল উট নিরামিষভোজী প্রাণী হলেও সাপ খাওয়ানো হয়! কিন্তু কেন জানেন?

আসলে উটের একটা অদ্ভুত রোগ আছে। তারা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। শরীর শক্ত হতে শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে, উটের এই অবস্থা হলে তাকে একটি বিষাক্ত সাপ খাওয়ানো প্রয়োজন। উটের মালিক তখন তার মুখ খুলে একটি বিষধর সাপ ঢুকিয়ে দেয়। এরপর জল ঢেলে দেওয়া হয় যাতে সাপটি ভিতরে চলে যায়।

উটের এই রোগকে হাইম বলা হয়। এর অর্থ হলো ‘জীবন্ত সাপ গিলে ফেলা।’ তবে বিজ্ঞানীরা এই রহস্যময় রোগ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি, যাতে চিকিৎসা করা যায়। তাই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে, উটের মালিক কিং কোবরা বা অজগরের মতো বিষাক্ত সাপ খাওয়ায়।

এরপর সাপের বিষের প্রভাব উটের গোটা সরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিষের প্রভাব কমতে শুরু করলে উটও ভালো হতে শুরু করে। কয়েকদিনের মধ্যেই উট সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভিডিও প্রায় দেখা যায়।

পশু চিকিৎসকদের মতে, কিছু বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে এই রোগ হয়। এর লক্ষণগুলো হলো জ্বর, চোখ থেকে জল পড়া, রক্তশূন্যতা, শরীর ফুলে যাওয়া, শক্তির অভাব ইত্যাদি। তাই এমন পরিস্থিতিতে যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে উটের মৃত্যু হতে পারে। তবে সাপ খাওয়ালে উটের নিরাময় হয় বলে চিকিৎসকরা এটিকে ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...

বাতিঘরের দ্বীপ কুতুবদিয়া

চিকচিক বালি নীল জলরাশি ঢেউয়ের গর্জনের সমুদ্দুর পাখির ডাকে সকালের রোদ্দুর আকাশের বিশালতা গায়ে চাদর ...