ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০২/২০২৩ ৯:২৫ এএম

‘জমি নিয়ে বিরোধ-সংঘর্ষ হলে রামু থানা পুলিশকে জানাবেন না’ এমন বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন। এসময় সাংবাদিক ও সংবাদ নিয়েও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন নেতিবাচক মন্তব্যের পর সভায় উপস্থিতি নেতৃবৃন্দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদিকে ওসির অপসারণ চেয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকার একটি সংবাদপত্রে “পারিবারিক পিকনিক থেকে ৪ নারীকে থানায় নিয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি এমন মন্তব্য করেন।

এদিকে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইনের এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রামু প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত সাংবাদিক শওকত ইসলাম, নুরুল হক সিকদার ও কফিল উদ্দিন বলেন, একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন কখনো এধরণের বক্তব্য দিতে পারেন না। আর সাংবাদিকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সংবাদ লিখেন না। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য আর অভিযুক্তদের বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরেন। একজন ওসির এরকম অপরিপক্ক বক্তব্য অপরাধ-সহিংসতাকে আরো বেশি উসকে দিবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন- ওসি আনোয়ারুল হোসাইন মন্তব্যটি অনেকটা ক্ষোভের বশিভূত হয়ে উপস্থাপন করেছেন।
আইনশ্ঙ্খৃলা কমিটির সভায় ওসি আনোয়ারুল হোসাইন নিজের মোবাইল থেকে পত্রিকায় প্রকাশিত জমি নিয়ে বিরোধ-সংঘর্ষ একটি সংবাদের উদ্ধৃতি দেন। এসময় তিনি আরও বলেন জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের সর্বাত্মক চেষ্টা করে। কিন্তু সাংবাদিকরা এসব ভূমি সংক্রান্ত ঘটনায় উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।
থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আইনগতভাবে এমন বক্তব্য দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিউদ্দিন বলেন, সংঘাত-সংঘর্ষ যে বিষয় নিয়েই হোক না কেনো এধরণের আমলযোগ্য অপরাধকে নিবৃত্ত করা থানা পুলিশের আইনগত দায়িত্ব। একজন ওসির কাছে আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলেই সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আইনে আছে।
উল্লেখ্য, রামুতে ওসি আনোয়ারুল হোছাইন যোগদানের পর থেকে রামুর আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে জমি বিরোধ-সংঘর্ষ, বিচারহীনতা, হয়রানী, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, গরু চোরাচালান, কিশোর গ্যাং সহ নানান কার্যকলাপে সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে।
জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, থানা পুলিশের প্রতি বিরূপ সংবাদের দুঃখ থেকেই ওসির এই বক্তব্য। তাছাড়া ওসি বক্তব্যে আরও সংযত হতে পারতেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ-সংঘর্ষ হলে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ হয়। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ কখনো হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ যাবে।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...