প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২২ ১০:৪২ পিএম

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলায় ফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন বলী।

সোমবার বিকেল তিনটা ৫ মিনিটে লালদিঘীর পাড়ে সড়কের উপর নির্মিত অস্থায়ী মাঠে বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করা জীবন বলীর হাতে ট্রফি ও নগদ টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

২০১৯ সালের সর্বশেষ আসরে রানার্স আপ হয়েছিলেন তিনি।

ফাইনালের শুরু থেকে দর্শকরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে চকরিয়ার জীবন ও কুমিল্লার শাহজালাল বলীর পক্ষে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন দর্শকরা। জীবনের কাছে শেষে শাহজালাল ধরাশায়ী হন। শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম জীবনকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন খেলার প্রধান রেফারি সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক।

আসরের চ্যাম্পিয়ন বলী সম্মানী হিসেবে পান ট্রফিসহ নগদ ২৫ হাজার টাকা। রানার্সআপ শাহজালাল পান ট্রফিসহ নগদ ১৫ হাজার টাকা। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বলীর পান নগদ ৬ হাজার টাকা এবং চতুর্থ স্থান অর্জনকারী বলী পান নগদ ৫ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রথম রাউন্ডে জয়ী ৪০ জনকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

এর আগে বলী খেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, শামসুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম, কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

খেলার অস্থায়ী ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্তের মঞ্চে ৭০ বলী খেলায় অংশ নেন। ২০১৯ সালে সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শাহজালাল, রানারআপ চকরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন বলী, রুবেল, মোমিন, তসলিম, সৃজন চাকমা, তপন চাকমা ও রিংকন বলী চ্যালেঞ্জিং রাউন্ডে অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪ জন ‘এ’ গ্রুপে এবং ৪ জন ‘বি’ গ্রুপে লড়েন। এছাড়া নকআউট পর্বে লড়বেন আরও ৪০ বলী। ধাপে ধাপে সেমিফাইনাল পর্ব পার হয়ে ফাইনাল পর্বে খেলেন গ্রুপ পর্বের বিজয়ী বলীরা।

মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চার রেফারির একজন সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত জব্বারের বলী খেলার ১১০তম আসরে ১১৩জন বলী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবার ৭০ জন বলী অংশ নিয়েছেন।

বলীখেলায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার ৭০ জন বলী নিবন্ধন করেছেন।

১৯০৯ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে লড়তে দেশের তরুণ-যুবকদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার এ বলী খেলার প্রচলন করেন। বর্তমানে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী উৎসবে পরিণত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। ঐতিহ্য হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বলীখেলা উপলক্ষ্যে তিনদিন ব্যাপী লোকজ মেলাও চলছে লালদিঘীর পাড় ঘিরে

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...