প্রকাশিত: ০৯/০৩/২০১৭ ৮:৪০ এএম , আপডেট: ০৯/০৩/২০১৭ ১০:৫৪ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের দ্বার আরো একধাপ উম্মোচন করতে আগামীকাল শূক্রবার ঘুমধুম সফরে আসছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন। ওইদিন সকাল সাড়ে আটটায় কক্সবাজার থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়ে প্রথমে মন্ত্রী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে সরকারি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের চাকঢালায় সীমান্ত হার্ট, ঘুমধুমে স্থল বন্দর এর জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন। এরপর কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জায়গাও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে মন্ত্রীর। পরবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি পরিদর্শন করে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। পরে উখিয়া-টেকনাফের কিছু কর্মসূচিতে অংশ করবেন। ইতিমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রীর ঘুমধুম ইউনিয়নে আগমন সফল করার লক্ষ্য মন্ত্রীর সফর সুচীর স্থান সমুহ পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল।
সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় চার লাখ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের প্রয়োজন মাফিক আমদানী-রপ্তানির নতুন এক দিগন্ত উম্মোচিত হবে। ঘুমধুমে স্থল বন্দর ও চাকঢালায় সীমান্ত হাট নির্মাণে কাজ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। সম্প্রতি নৌ-মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থল বন্দর নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। বান্দরবানে স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গুরুত্ব পায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম। ঘুমধুমে স্থল বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। যাহা ঘুমধুম ইউনিয়নবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল। কারণ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পয়েন্ট যেহেতু ঘুমধুম তাই স্থলবন্দর ঘুমধুমে হওয়াটা শতভাগ যৌক্তিক বলে মনে করেন এখানকার সাধারণ মানুষ। তাই স্থল বন্দর ঘুমধুমে স্থাপন করার জন্য ঘুমধুমবাসি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন- প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ইতিমধ্যেই ঘুমধুম এবং চাকঢালা পয়েন্ট পরিদর্শন করেছি। ঘুমধুমের স্থল বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে! তবে চাকঢালাতে সীমান্ত হাট নির্মিত হবে। এছাড়াও সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খাঁন নিজেই সম্ভাব্য স্থান গুলো পরিদর্শনে আসছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন- পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় স্থল বন্দর নির্মাণের জন্য ঘুমধুম’ই উপযুক্ত স্থান। এটি স্থাপিত হলে পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়িসহ উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ উপকৃত হবে। যেটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ছিল।

পাঠকের মতামত

সন্তান কোলে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে, পরকীয়ায় স্ত্রী পালানোর ‘জবাব’ দিলেন স্বামী

দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ এলে অনেকেই ভেঙে পড়েন, অনেকে দীর্ঘ সময় বিষণ্নতায় কাটান। তবে মুন্সিগঞ্জের কামাল ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশেষ ...

নাফ নদের ৩৩ কি.মি. ও সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২০ কিমিতে বসেছে ৬ রাডারসীমান্ত ও সমুদ্রে নজরদারিতে রাডার ড্রোন থার্মাল ক্যামেরা

এবার দেশের সীমান্ত ও সমুদ্র সুরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি রাডার, ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত ...

তদন্তের নির্দেশ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজিকেটেকনাফে হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দিল পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে আদালতে মামলা ...