ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০৪/২০২৩ ৯:৪৭ পিএম

রোববার দুপুরে কক্সবাজারে এই ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয় – সমকাল
রোববার দুপুরে কক্সবাজারে এই ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয় – সমকাল

কক্সবাজারে উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে রোববার সকালে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারে পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ১০ জনের মধ্যে কয়েকজনকে তাঁদের স্বজনেরা শনাক্ত করতে পেরেছেন। বাকিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশগুলোর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না কীভাবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেটররা (তদন্তকারীরা) কাজ করছেন। ঢাকা থেকে সিআইডি, পিবিআইয়ের দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডুবে যাওয়া ট্রলারে নাম নেই কেন এ নিয়ে আমরা বোট মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সঙ্গেও কথা বলব। সবকিছু জেনে আরও তথ্য পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড।’

এ সময় ডিআইজি আনোয়ার আরও বলেন, সমুদ্রে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। দস্যুতা রোধে মহেশখালী ও বাঁশখালীর বহু জলদস্যুকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের জন্য জিপিআরএস পদ্ধতি চালু করা হবে।

রোববার দুপুরে কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তারা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

পাঠকের মতামত

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...