ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০৪/২০২৩ ৯:৪২ পিএম

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আহমদ (২৯) নামে এক নওমুসলিম যুবকের লাশ দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকার পর আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দাফন সম্পন্ন হচ্ছে।

নিহত আহমেদের (পূর্বের নাম রতন দাশ) ধর্মপরিচয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার আদালতের রায়ে তার জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা হয়।

নিহত আহমদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ।

সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে পটিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ নিহত নওমুসলিম আহমদকে ইসলামী রীতি মোতাবেক দাফনের পক্ষে রায় দেন।

আদালতে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নিহত নওমুসলিম আহমদের লাশ তার ধর্মীয় শিক্ষক আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এখন করার জন্য বিজ্ঞ আদালত রায় দিয়েছেন।

নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ বলেন, আমাদের সহপাঠী আহমাদ আগে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন।

তার মৃত্যুর পর আমরা বন্ধুরা তার দাফনের ব্যবস্থা করলে তার পরিবার হিন্দু ধর্ম মতে সংস্কারের দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা আদালত পর্যন্ত করায়।

সোমবার আদালতে রায়ের পর আমরা তার দাফন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাতে জানাজা শেষে তার লাশ নগরীর চৈতন্য গলির কবরস্থানে আহমদকে কবর দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিড করে এবং কালেমা পড়ে স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহমদের মৃত্যু হয়।

তখন নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ দাবি করেন যে তার ছেলে রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।

কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবী রতন দাশ তার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাই তার দাফন করা হবে।

যুবক আহমদের শেষ যাত্রা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির কারণে মৃত্যুর পর দিন ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ।

সেদিন তারা আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন।

পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আদালত দাফনের নির্দেশ দেন

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...