উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশকে পিটিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আসামির মেয়ে খাদিজা বেগম ও পুলিশকে সহায়তাকারী যুবক আশেক এলাহী আরাফাত। এছাড়াও পুলিশের সিএনজি চালিত টেক্সি ভাংচুর ও চাকা কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন পূর্ব বড় ভেওলারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া আসামি আবদুল কাদের পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নরে চর পাড়ার মৃত দৌলত হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন- পুলিশকে সহায়তাকারী পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নরে আক্তার আহমদের ছেলে আশেক এলাহী আরাফাত (২০)। তাকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরজন, আসামি আবদুল কাদেরের মেয়ে খাদিজা বেগমকে (১৪) চকরিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব বড় ভেওলায় ১৯৯২ সালে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় কালা মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলার আসামি আবদুল কাদের। তিনি গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন। পরে জামিনে বের হয়ে বিদেশ পাড়ি দেন। ফলে আদালতে হাজির না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কাদের দেশে ফিরেছে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ শনিবার সকালে তার বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার আসামি কাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় হামলাকারী ও পুলিশের মধ্যে ৬-৭ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। তবে কেউ আহত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। পুলিশের কেউ আহত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল বিবার্তাকে বলেন, দুর্বৃত্তদের ধাওয়া খেয়ে এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য শরীরে কাদামাখা অবস্থায় ইউপি কার্যালয়ে এক ঘন্টা আশ্রয় নেয়। এ সময় এসআই মাহবুবের হাতে রক্ত দেখা যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স গিয়ে পরিষদে আশ্রয় নেয়া পুলিশ সদস্যদের থানায় নিয়ে যায়। হামলাকারী কর্তৃক ভাংচুর ও টায়ার কেটে দেয়া সিএসজি চালিত টেক্সিটি গ্যারেজে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি আমি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিবার্তাকে বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে রয়েছে।
বিবার্তা