ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৫/২০২৩ ৬:০৬ পিএম , আপডেট: ১১/০৫/২০২৩ ৬:১৩ পিএম

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। আগামী রবিবার আছড়ে পড়তে পারে কক্সবাজার উপকূলে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার।

কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুত রাখা হয়েছে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান আবদুর রহমান জানান, মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে যেতে মানা করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে। সুত্র: বাংলাট্রিবিউন

পাঠকের মতামত