ডেস্ক রিপোর্ট::
ঘুমধুমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবক এবং তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ভিটায় সৃজিত শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বত্তরা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী নিজ বাড়িতে গত ২৯ মে দুপুর আড়াই টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে প্রথমে উখিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশাংখাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার বিবরণে জানা গেছে আহত হাজ্বী ছৈয়দ আলমের ছেলে জহির আহমদ (৩০) বিদেশ থাকাকালীন ২০০৯ সালে জবর মুল্লকের ছেলে আপন মামা ছৈয়দ আলম (৪৫) এর কাছ থেকে একটি ভিটা ক্রয় করে। পরবর্তীতে গত বছর জহির বিদেশ থেকে ফিরে এসে ক্রয়কৃত জায়গার উপর একটি বসত ঘর নির্মাণ করে স্ত্রী পরিজন সহ বসবাস করে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জহিরকে বিক্রয় করা ভিটার উপর লুলোপ দৃষ্টি পড়ে মামা ছৈয়দ আলমের এবং জহির আহমদের কাছ থেকে পুণরায় ভিটা বিক্রি বাবদ টাকা দাবী করলে জহির টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরই জের ধরে সর্বশেষ গত ২৯ মে দুপুর আড়াই টার দিকে মামা ছৈয়দ আলম, স্ত্রীসহ ৮/১০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে জহিরের বসত ভিটায় হামলা চালিয়ে শতাধিক একাশি ও আমগাছ কেটে ফেলে। জহির বাধা দিতে গেলে ছৈয়দ আলম উত্তেজিত হয়ে মারপিট করতে করতে টানা হেছড়া করে তাদের ঘরের দিকে নিয়ে আটকিয়ে মারতে থাকে জহিরকে। তার ডাক ও শোর-চিৎকারে তাকে উদ্ধার করতে এলে জহিরের স্ত্রী শামীমা সুলতানাকে ও বেধম পিটিয়ে আহত করা হয়। মহিলাদেরকে টানা হেচছা করে শ্লীলতাহানীর ঘটেয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতরা। এর আগে ও কয়েকবার এভাবে তাদের ও তাদের পরিবারকে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ছৈয়দ আলম গং মারপিট করার জন্য লোহার রড, বগি, দা, ছেনি নিয়ে তৈরি থাকে। একটু কথার বাড়াবাড়ি হলেই তাদের ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজন সহ তারা প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ছৈয়দ আলমের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আহত জহির আহমদের স্ত্রী শামিমা সুলতানা বলেন জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা শালিশ বৈঠক করলেও বারবার এরা শালিশ অমান্য করে জোর জবরানে আমাদের ভিটা ভোগ করতে চায় আমি এবং আমার ননদ জোৎসা আক্তার আমার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করি এবং ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করি। বর্তমানে আমার স্বামীর অবস্থা আশংখা জনক। এ ব্যাপারে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস,আই এরশাদ উল্লাহ বলেন আহত অবস্থায় জহির আহমদ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাটিয়েছিলাম কিন্তু এরপর আর আসেনি। হামলকারী ছৈয়দ আলমকে প্রধান আসামী করে জহির আহমদের স্ত্রী শামীমা সুলতানা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।