প্রকাশিত: ২১/১১/২০২১ ৬:২৪ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২৩ ডিসেম্বর টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে পৌরবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন আবদু শুক্কুর সিআইপি। সভায় মানুষের উপস্থিতি জনসভায় পরিনত হয়। এভাবে প্রতিদিন রাত-দিন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং তরুন রাজনীতিবিদ আবদু শুক্কুর সিআইপির বৈঠকখানা ও প্রচারণায় দেখা যায় মানুষের আনাগোনা। তাদের কেউ নিজের সমস্যা, কেউ অন্যের সমস্যা বলতে আসে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একে একে নিজের মত করে ভালো-মন্দ সবই খুব কাছ থেকে মন খুলে বলতে পারেন তাঁকে মানুষ। বিশেষ করে গত এক বছর ধরে মানুষের কথা গভীর মনযোগ দিয়ে শুনছেন মেয়র প্রার্থী শুক্কুর। কথা শেষে সবাই হাসিমুখে বাড়ি ফিরেন ফিরছেন।
এলাকার মানুষের আলাপচারিতায় একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা উঠলে সর্বাগ্রে যে মানুষটির নাম উঠে আসে তিনি হচ্ছেন প্রয়াত এজাহার মিয়া কোম্পানীর সুযোগ্য ছেলে আবদু শুক্কুর সিআইপি। আসন্ন ২৩ ডিসেম্বর সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন ফরম। এরপর সমগ্র পৌরবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তাঁর বাড়িতে। সভায় তাঁকে নির্বাচন করতে একমত হন।
পৌরশহরের প্রতিটি মহল্লার মানুষ তাকে ‘শুক্কুর ভাই’ নামে চেনেন। মেয়র হয়ে পৌরশহরের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে গর্ব করার মত একটি পৌরসভা উপহার দিতে চান তিনি। আবদু শুক্কুর সিআইপি টেকনাফ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। বাবা প্রয়াত এজাহার মিয়া কোম্পানী তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে নেতৃত্ব দেয়া ও এলাকার মেহনতি-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো দেখতেন তিনি। বাবার কাছ থেকেই অন্যের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পেয়েছেন তিনি।
সমাজসেবক শুক্কুর সরকারের উল্লেখযোগ্য সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে-মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান, অসহায় রোগিকে সেবা ও আর্থিক সহযোগিতা, রাস্তা ঘাটের সমস্যার সমাধান, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা, এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো। এছাড়াও করোনার এ দু:সময়ে গ্রামের অসহায়দের ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
২৩ ডিসেম্বন পৌরসভা নির্বাচনের জন্য একজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছুটে চলেছেন তিনি। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও হিতাকাঙ্খিদের নিয়ে ভোটের জন্য দোয়া ও সমর্থন চাইছেন। তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটারসহ সাধারণ মানুষের থেকে পেয়েছেন ব্যাপক সাড়া।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে অলিয়াবাদস্থ তার বাসভবনে মতবিনিময় সভায় জনতার সামনে বলেন, পৌরসভায় আমার চাচা ১০ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু অবহেলিত থেকে গেছে পৌরবাসী। রাস্তাঘাটের কোন পরিবর্তন করতে পারেননি। কোন মানুষ দস্তখত নিতে গেলে শুধুই হয়রানী ছাড়া কিছুই দেন না। কোন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে মানুষের খোঁজ খবর রাখেন না। এভাবে অনেক বছর কাংখিত সেবা পাচ্ছেন না পৌরবাসী। তাই জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি যতই বাধা ও শক্তিশালী প্রার্থী ভোটে আসুক না কেন তিনি নির্বাচন করেই যাবেন। মতবিনিময় সভায় পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে আসা মুরব্বীদের সামনে তিনি আরো বলেন, আপনাদের ভাই আপনাদের কাছের মানুষ আমার বাবা প্রয়াত এজাহার মিয়া কোম্পানী মারা গেলেও এবার ভোটের মাঠে মনে করবেন এজাহার কোম্পানী ভোট করতে এসেছেন। আপনাদের রায় ও সহযোগিতায় আমার বাবা যেমন উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে মারা গেছেন ঠিক তাঁর মতোই আমিও মরে যাব। এসময় উপস্থিত সকলে তাঁকে ভোট করতে সমর্থন জানান। জবাবে তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের মানুষকে আমার বাবা যা সম্পত্তি দিয়ে গেছেন সব আপনাদের দিয়ে দেব। সরকার থেকে কোন বরাদ্দ নিতে হবে না ইনশাল্লাহ। আপনারা শুধুই আমার সাথে থাকবেন।
আসন্ন নির্বাচনে পৌরসভার তরুণ প্রজন্মসহ সচেতনমহলও টেকনাফ পৌর শহরের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, পানি ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হিসেবে শুক্কুর সিআইপিকে নিয়েই ভাবছেন। নির্বাচনী আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, বিগত কয়েকটি পৌর নির্বাচনের আগে অনেক সাবেক ও বর্তমান মেয়রের দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। পৌরশহরের বিভিন্ন রাস্তা কয়েকবছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যেগুলো মেরামত করে দেবেন বলে বলে এখনো তা দেননি। রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনার স্তুপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এছাড়া পৌরসভার বিদ্যুৎ সুবিধা, সুপেয় পানি ও বর্ষাকালে শহরে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অনেকটাই হযবরল। কাগজে-কলমে টেকনাফ পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা হলেও নাজুক পরিস্থিতি পুরো পৌর এলাকার।
পৌর শহরের ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শুক্কুর সিআইপি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। পৌর শহরের শহরের সকল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক এবং তিনি ব্যবসায়ীদের ভালোমন্দ বিষয়ে সবসময় খোঁজ রাখেন। তার মতো একজন সৎ ও যোগ্য মানুষ আগামীতে টেকনাফ পৌরমেয়র হলে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবেন। সেইসঙ্গে পৌরশহরের মার্কেটগুলোতে চুরি-ডাকাতির মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনামুক্ত হবে এবং পৌরবাসী অনেক সুবিধা ভোগ করবেন।’
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্রীড়াঙ্গন ও মসজিদ মাদ্রাসাসহ সবখানে শুক্কুরের রয়েছে অবাধ বিচরণ। এলাকার ব্যাটমিন্টন, ক্রিকেট ও ফুটবল প্রেমিকরা তাদের আবদার নিয়ে তার নিকট গিয়ে কখনো খালি হাতে ফেরেনি। অর্থের অভাবে যেনো তার এলাকার কোনো দরিদ্র ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ না হয়, সেদিকে শুক্কুর সিআইপি সুনজর খুব তীক্ষ্ম। এ ধরণের একজন শিক্ষিত ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি আগামীতে জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে এলাকায় শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
টেকনাফ বাস ষ্টেশনের সাইকেল মাঠ এর সত্বাধিকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আবদু শুক্কুর একজন সৎ ও উদার মানুষ। তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও গরিব ও মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ান। আগামীতে মেয়রের চেয়ারে বসার সুযোগ পেলে তিনি টেকনাফ পৌরবাসীর জন্য সবধরণের উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবেন।’
মেয়রপ্রার্থী সমাজ সেবক শুক্কুর সিআইপি বলেন, ‘এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমি আমার প্রয়াত বাবা এজাহার মিয়া কোম্পানী থেকেই পেয়েছি। আর বাবাও চেয়েছিলেন, আমি যেনো সারাজীবন মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করি। বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতেই আগামী পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এতে আমি আমার এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি।’ এর প্রতিদান জনগণ ২৩ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে দিবেন ইনশাল্লাহ।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...