প্রকাশিত: ২৪/১২/২০২১ ৭:৫০ এএম

রামু প্রতিনিধি
কক্সবাজারের রামুতে সাংবাদিক সুনীল বড়–য়ার হারিয়ে যাওয়া ৪০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য নজির স্থাপন করলেন রামুর দুই শিক্ষার্থী। সড়কে কুডিয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাও চালান তারা। অবশেষে হারানো টাকার প্রমাণ পেয়ে ফেরত দেন তারা।
কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারি শিক্ষার্থীরা হলেন- রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার পানের দোকানদার মহি উদ্দিনের ছেলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল কবির ইমন ও পাশর্^বর্তী মিস্ত্রীপাড়া এলাকার নুর আহমদের ছেলে সাইমুম সরওয়ার।
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী গ্রামের বাসিন্দা মাছরাঙ্গা টিভি’র কক্সবাজার প্রতিনিধি সুনীল বড়–য়া জানান- ১৯ ডিসেম্বর তিনি ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তাদের ব্যবসায়িক কাজের ২ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ওই দিন চৌমুহনী স্টেশনে একটি দোকানে বকেয়া টাকা পরিশোধ করেন এবং রামু উপজেলা পরিষদের সামনে এক বন্ধুর সাথে দেখা করে ফের চৌমুহনী ফেরার সময় তার পকেট থেকে ৪০ হাজার ১৬০ টাকার একটি ব্যান্ডেল অসাবধানতাবশত পড়ে যায়।
পরে তিনি ওই সড়ক ও আশপাশে অনেক খোঁজাখুজি করে টাকা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। এমনকি তিনি এ টাকা আবার পাবেন এমন আশাও ছেড়ে দেন।
কিন্তু বৃহষ্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন- কজন শিক্ষার্থী টাকাগুলো কুড়িয়ে পেয়েছেন। পরে সাজ্জাদুল কবির ইমন ও সাইমুম সরওয়ারের সাথে হারিয়ে যাওয়া টাকার প্রমাণসহ যোগাযোগ করলে তারা টাকাগুলো ফেরত দেন।
সাংবাদিক সুনীল বড়–য়া চিকিৎসাজনিত কারণে প্রয়োজনে চট্টগ্রাম থাকায় বৃহষ্পতিবার বিকালে তাঁর পক্ষে সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ ও ওবাইদুল হক নোমানের হাতে এসব টাকা তুলে দেন শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল কবির ইমন ও সাইমুম সরওয়ার। এসময় কলঘর বাজারের ব্যবসায়ি কলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান- সাজ্জাদুল কবির ইমন ও সাইমুম সরওয়ার দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এরমধ্যে সাজ্জাদুল কবিরের বাবা পানের দোকান করে সংসার চালান আর সাইমুম সরওয়ার পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের জীবিকার তাগিদে ইজিবাইক (টমটম) চালান। দরিদ্র হলেও তারা টাকার প্রতি লোভ করেননি। সততার এমন নজির বর্তমানে বিরল।
সাজ্জাদুল কবির ইমন জানান- তারা কজন বন্ধু একটি বেসরকারি সংস্থার কম্পিউটার প্রশিক্ষণে যাওয়ার সময় টাকাগুলো পান। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মায়ের কাছে জমা রেখে প্রকৃত মালিককে ফেরত দেয়ার জন্য একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন। এখন টাকাগুলো ফিরিয়ে দিতে পেরে তারা আনন্দিত।
সাংবাদিক সুনীল বড়–য়া- সাজ্জাদুল কবির ইমন ও সাইমুম সরওয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- পিতা-মাতার সুশিক্ষা পেয়েছেন বলেই হয়তো তারা লোভ-লালসার উর্দ্ধে উঠে কুড়িয়ে পাওয়া টাকাগুলো ফেরত দিয়েছেন। এটা তাদের জন্য যেমন প্রশংসার, তেমনি সবার জন্য অনুকরণীয়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...