কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির লি.–এর নির্বাচন উৎসবের আমেজে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
৪২৭ ভোটারের মধ্যে ৪২১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন—এমন উচ্চ উপস্থিতি পুরো নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে।
নির্বাচনের ফলাফল
সভাপতি পদে চেয়ার প্রতীকের জহির আহমদ ২৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জানে আলম জানু পেয়েছেন ১৪৯ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের মোহাম্মদ রুবেল ২৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৩৮ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
এ ছাড়া সদস্য পদে মোরক, বৈদ্যুতিক পাকা, তালা, টিউবওয়েল ও ফুটবল প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয় লাভ করেন।
ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ীরা পরাজিত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
শৃঙ্খলাপূর্ণ ভোট গ্রহণ
ভোট গ্রহণের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রে প্রবেশের আগে ভোটারদের মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দিতে হয়। অধিকাংশ ভোটারই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাগত জানান।
একজন ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“এক প্রার্থী নাকি টাকা দিয়ে ছবি তোলার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু মোবাইল জমা দিতে হওয়ায় কোনো চাপ নিতে হয়নি। স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছি।”
নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ দিনজুড়ে কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় ছিল নির্বাচনমুখর পরিবেশ। প্রচারণা, ভোটারদের ভিড়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবকিছু মিলিয়ে স্থানীয়দের মতে, এই নির্বাচন যেন ছোট আকারের একটি জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ সৃষ্টি করেছিল।
ব্যবসায়ীরাও বলেন,
“কুতুপালং বাজারে এমন নির্বাচন আগে দেখা যায়নি।”
স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার মধ্যেই ফলাফল নিশ্চিত করা হয়। স্বচ্ছতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টি ছিল স্পষ্ট।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন,
এই নির্বাচন বাজারের নেতৃত্বে নতুন প্রাণ, গতিশীলতা এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে।
কুতুপালং বাজারের ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক চর্চার এই দিনটিকে তারা স্মরণীয় একটি অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করছেন।