
শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাবে আগামী ৭ এপ্রিল (শুক্রবার) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের। এ সম্মেলনকে ঘিরে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অধীর অপেক্ষায় আছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও। নেতাকর্মীরা আবারও যুবরাজনীতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে। তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার সম্মেলনের গুঞ্জণ-গুঞ্জরণ হচ্ছে গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় হোটেল রেস্তোরাতে আলাপ আলোচনায় নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা কৌতুহল। পদপ্রত্যাশী নেতারাও বসে নেই। পদ প্রত্যাশী কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা অব্যাহত রেখেছেন। কাউন্সিলারদের সমর্থন পেতে তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারাও ব্যস্ত লবিং-গ্রুপিংয়ে। আসন্ন সম্মেলনে কোনো চমক থাকছে, না কী পুরনো নেতৃত্বই বহাল থাকছে এসব নিয়েও দলীয় পরিমণ্ডলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবকিছু নির্ভর করছে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা যুবলীগের নীতি নির্ধারকের ওপর- এমনটিই মনে করেন সবাই।
আর এদিকে, যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ সভাপতি ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী , যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস, যুগ্ন সম্পাদক হ্লা তোয়ায়হ্লীরী মার্মা,সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজ্জাম্মেল হক বাহাদুর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রির প্রতিনিধি খাইরুল বাশার, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোছাইন, যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ ওমর ফারুখ, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক মাষ্টার ক্যউচিং চাক্ , যুগ্ন আহ্বায়ক আবু তাহের কোম্পানী, তছলিম ইকবাল চৌধুরী, সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার প্রমূখ উপস্থিত থাকার কথা আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানাযায়।
দলীয় সূত্রে আরও জানায়, প্রায় পাচঁ বছর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে মোঃ জসিম উদ্দীনকে সভাপতি ও হোছাইন আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বছর দুয়েক ধরে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় দলীয় কর্যক্রমে দূরত্ব তৈরি করেছে। যা জেলা নেতাদের কাছে দৃষ্টিগোছর হয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এম,আবু কালাম বলেন, সম্প্রতি ছাত্রলীগ আয়োজিত বাইশারী ইউনিয়নে জঙ্গী ও সন্ত্রস প্রতিরোধ সভাতেও যাননি সাধারণ সম্পাদক হোছান আহম্মেদ। তার শুধু পদের দরকার। দলীয় কর্যক্রমে অংশগ্রহণ করা মুটেও প্রয়োজন মনে করেন না। সরকারের জাতীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত হওয়াকে তোয়াক্কা করেন না তিনি।
এমন কি কোন নেতা কর্মীদের ভাল মন্দ খোজঁ খবরও রাখতেন না। এতে দলের নেতা কর্মীরা ক্ষোভ তার প্রতি। তার কারনে দলীয় রাজনীতিতে অনেকটাই ভাটা পড়ে। দলীয় কাজে সময় না দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে তার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় যুবলীগ তাঁকে নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন। এর পরও সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হোছাইন আহম্মেদ।
,উপজেল যুবলীগের নেতা বালি বড়ৃয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, সুদীর্ঘ সময় ধরে উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির হাল ধরে রেখেছেন বর্তমান সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দীন। বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দীন একজন ক্লিন ইমেজের নেতা। তিনি অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকায় তৃণমূলে সমর্থক ও ভোটাররা আবারও সভাপতি পদে দেখতে চাই তাকে। সে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে কাউন্সিলারদের থেকে ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা রাখে। তাই সংগঠক হিসেবে জসিম উদ্দীনকে আমার মূল্যবান আমানতটি রায় প্রদান করব এবং অন্য সহযুদ্ধাদেরকে তার ইমেজের কথা তুলে ধরে ভোট দিতে পরামর্শ দেব।
আর এদিকে জেলার নেতারাও জসিম উদ্দীনের প্রতি সূ দৃষ্টি রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানাযায়।
একাধিক নেতারা মনে করেন, আবারও সভাপতি পদে জসিম উদ্দীনকে নির্বাচিত করলে যুব নেতাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে নেতা কর্মীদের ধারনা।তাই এবারও তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন । তার পাশাপাশি দলটির সাধারণ সম্পাদক হোছাইন আহম্মেদ ও সিনিয়র সহ সভাপতি নাজমুল হাছানের নামও সভাপতি পদের উচ্চারিত হচ্ছে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইকবাল চৌধুরী খাইরু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ, যুগ্ন সম্পাদক আলী হোসেন জয় দত্তসহ আরও কয়েক জন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।কারা হচ্ছেন উপজেলা যুবলীগের কান্ডারী
শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকেঃঃ
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাবে আগামী ৭ এপ্রিল (শুক্রবার) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের। এ সম্মেলনকে ঘিরে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অধীর অপেক্ষায় আছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও। নেতাকর্মীরা আবারও যুবরাজনীতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে। তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার সম্মেলনের গুঞ্জণ-গুঞ্জরণ হচ্ছে গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় হোটেল রেস্তোরাতে আলাপ আলোচনায় নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা কৌতুহল। পদপ্রত্যাশী নেতারাও বসে নেই। পদ প্রত্যাশী কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা অব্যাহত রেখেছেন। কাউন্সিলারদের সমর্থন পেতে তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারাও ব্যস্ত লবিং-গ্রুপিংয়ে। আসন্ন সম্মেলনে কোনো চমক থাকছে, না কী পুরনো নেতৃত্বই বহাল থাকছে এসব নিয়েও দলীয় পরিমণ্ডলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবকিছু নির্ভর করছে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা যুবলীগের নীতি নির্ধারকের ওপর- এমনটিই মনে করেন সবাই।
আর এদিকে, যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ সভাপতি ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী , যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস, যুগ্ন সম্পাদক হ্লা তোয়ায়হ্লীরী মার্মা,সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজ্জাম্মেল হক বাহাদুর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রির প্রতিনিধি খাইরুল বাশার, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোছাইন, যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ ওমর ফারুখ, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক মাষ্টার ক্যউচিং চাক্ , যুগ্ন আহ্বায়ক আবু তাহের কোম্পানী, তছলিম ইকবাল চৌধুরী, সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার প্রমূখ উপস্থিত থাকার কথা আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানাযায়।
দলীয় সূত্রে আরও জানায়, প্রায় পাচঁ বছর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে মোঃ জসিম উদ্দীনকে সভাপতি ও হোছাইন আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বছর দুয়েক ধরে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় দলীয় কর্যক্রমে দূরত্ব তৈরি করেছে। যা জেলা নেতাদের কাছে দৃষ্টিগোছর হয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এম,আবু কালাম বলেন, সম্প্রতি ছাত্রলীগ আয়োজিত বাইশারী ইউনিয়নে জঙ্গী ও সন্ত্রস প্রতিরোধ সভাতেও যাননি সাধারণ সম্পাদক হোছান আহম্মেদ। তার শুধু পদের দরকার। দলীয় কর্যক্রমে অংশগ্রহণ করা মুটেও প্রয়োজন মনে করেন না। সরকারের জাতীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত হওয়াকে তোয়াক্কা করেন না তিনি।
এমন কি কোন নেতা কর্মীদের ভাল মন্দ খোজঁ খবরও রাখতেন না। এতে দলের নেতা কর্মীরা ক্ষোভ তার প্রতি। তার কারনে দলীয় রাজনীতিতে অনেকটাই ভাটা পড়ে। দলীয় কাজে সময় না দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে তার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় যুবলীগ তাঁকে নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন। এর পরও সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হোছাইন আহম্মেদ।
,উপজেল যুবলীগের নেতা বালি বড়ৃয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, সুদীর্ঘ সময় ধরে উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির হাল ধরে রেখেছেন বর্তমান সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দীন। বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দীন একজন ক্লিন ইমেজের নেতা। তিনি অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকায় তৃণমূলে সমর্থক ও ভোটাররা আবারও সভাপতি পদে দেখতে চাই তাকে। সে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে কাউন্সিলারদের থেকে ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা রাখে। তাই সংগঠক হিসেবে জসিম উদ্দীনকে আমার মূল্যবান আমানতটি রায় প্রদান করব এবং অন্য সহযুদ্ধাদেরকে তার ইমেজের কথা তুলে ধরে ভোট দিতে পরামর্শ দেব।
আর এদিকে জেলার নেতারাও জসিম উদ্দীনের প্রতি সূ দৃষ্টি রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানাযায়।
একাধিক নেতারা মনে করেন, আবারও সভাপতি পদে জসিম উদ্দীনকে নির্বাচিত করলে যুব নেতাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে নেতা কর্মীদের ধারনা।তাই এবারও তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন । তার পাশাপাশি দলটির সাধারণ সম্পাদক হোছাইন আহম্মেদ ও সিনিয়র সহ সভাপতি নাজমুল হাছানের নামও সভাপতি পদের উচ্চারিত হচ্ছে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইকবাল চৌধুরী খাইরু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ, যুগ্ন সম্পাদক আলী হোসেন জয় দত্তসহ আরও কয়েক জন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত