প্রকাশিত: ২৫/০৭/২০২১ ৭:৪২ পিএম

করোনা প্রতিরোধে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির অস্তিত্ব কেবল কাগজে কলমে। জেলা প্রশাসকরা বলছেন, প্রন্তিক পর্যায়ে রোগী শনাক্ত ও তাদের দ্রুত আইসোলেশন সেন্টারে নিতে সহায়তার করতেই গঠন করা হয় এই সব কমিটি। সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধান করে গঠিত কমিটিগুলোতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের।

তবে ইউনিয়ন ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা বলছে, এই কমিটির কোনো সভায় কখনোই তাদের ডাকা হয়নি। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ের এই কমিটিগুলো কার্যকর করা হলে সংক্রমণ অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব হতো।

করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করেছিল সরকার। করোনা ব্যবস্থাপনা নামের ওই কমিটি এখনও আছে কাগজে-কলমে।

কমিটির কাজ ছিল

-গ্রামে রোগী খোঁজা
-প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে নেয়া

প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের প্রধান করে গঠন করা কমিটিতে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু এই জনপ্রতিনিধিরা শুরু থেকেই উপেক্ষিত। অনেককে সভাতেও ডাকা হয়নি।

গত বছরের মার্চ থেকে এই কমিটি কার্যকর আছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন।

তবে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, এমন কমিটির কথা তারা শুনেছেন। কিন্তু কার্যকর আছে-এমনটা জানেন না।

করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

পাঠকের মতামত