প্রকাশিত: ৩১/০১/২০২০ ৩:৪৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জেনেভায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস। তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্য সেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে’।

চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমে (এক সপ্তাহ আগে) বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায় ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির কর্মকর্তারা এখন বলছেন, চীনে হাজার হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানুষের শরীর থেকে অন্যের আক্রান্ত হওয়ার স্পষ্ট নজির দেখা গেছে। এছাড়াও সংস্থাটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ভাইরাস সংশ্লিষ্ট কারণে মারা যাওয়া প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের বাইরে। ফলে আগের সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি।

বৃহস্পতিবার গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার কারণ হিসেবে ডব্লিউএইচও প্রধান অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, মূলত চীনে যা ঘটছে সে কারণে নয় বরং অন্য দেশে যা ঘটছে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩৬ জন। সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার একশো ছাড়িয়েছে। গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করলেও ভাইরাস মোকাবিলায় চীনের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশংসা করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ আইনগতভাবে বাধ্য কোনও ঘোষণা নয়। তবে একে জনস্বাস্থ্য সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা হয়। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে,পরিস্থিতিকে মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ পরামর্শক সংস্থাটি।
এই ঘোষণার মাধ্যমে সরকারগুলো নিজ নিজ দেশের সীমান্ত বন্ধ, ফ্লাইট বাতিল, বিমানবন্দরে আগতদের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া এই ঘোষণার মাধ্যমে যে কোনও দেশই তহবিল বরাদ্দের জরুরি আবেদন জানাতে পারে। তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা কম বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ চীন, জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম নিজ নিজ দেশে এই ভাইরাস ঠেকানোর খরচ বহনে সক্ষম।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ‘সুখবর’ দিল মালয়েশিয়া সরকার

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ...

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...