এইচ এম এরশাদ::[caption id="attachment_95962" align="alignnone" width="1080"]
সম্প্রতি গনজমায়েত [/caption]
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে রোহিঙ্গারা। টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে আইসোলেশনে নিয়ে যাবার পর সেখান থেকেও পালিয়ে যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গারা। এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাসহ করোনা সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে প্রথম একজন রোহিঙ্গার করোনা শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ৩৪জন রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে একজন। রোহিঙ্গাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তারা তা গোপন রেখে ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছে। আশ্রয় শিবিরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্মকর্তারা। যেহেতু প্রতিটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকে রোহিঙ্গারা। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রসস্থ ও বড় পরিসরে কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। বিলাসী জীবন-যাপনকারী কিছু এনজিও প্রতিনিধি ও পুরনো রোহিঙ্গা নেতাদের ইন্ধনে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা। উখিয়া টেকনাফে স্থাপিত আশ্রয় ক্যাম্পে ১০বর্গফুটের কোনো কোনো ঝুপড়িতে গাদাগাদি করে ১০-১২ জনও থাকে। কুতুপালং বিশাল ক্যাম্পে ৫ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গার বসবাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানছেনা কেউ। ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও তা গোপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ক্যাম্পে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্য সকল দোকান বন্ধ রাখতে বলা হলেও রোহিঙ্গারা শুনছেনা সরকারের দেয়া পরামর্শ। প্রশাসনের পক্ষে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে কার জ্বর-কাশি বা কার সর্দি হয়েছে, এসব খবর নেয়াও সম্ভব না। এ কারণে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। ৩৪টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সেবায় এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ক্যাম্পের ভিতর ২০০ বেডের একটি আধুনিক হাসপাতাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা বাহিনীর সদস্যরাও নজরদারি বাড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, দেশে মহামারি চলছে এটা সবাই অবগত রয়েছে। করোনা নিয়ে সারা বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। তবে কিছু সংখ্যক এনজিও তা মানছেনা মোটেও। মাইক্রোবাসে অন্তত ৮-১০ জন করে কর্মী ক্যাম্পে যাওয়া-আসা করছে প্রতিদিন। এসব এনজিওতে কর্মরত চাকুরীজীবিরা লক ডাউন বা রেড জোন মানছেনা। ক্যাম্পে কর্মরত অন্তত ১০-১২ জন এনজিওকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। উখিয়ার ক্যাম্প-২ (পূর্ব) এর রোহিঙ্গা নেতা মো: নূর বলেন, ক্যাম্পের করোনা আক্রান্ত এক রোহিঙ্গা যুবক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে খোঁজা হচ্ছে। সে হয়ত ক্যাম্পেই লুকিয়ে রয়েছে। ক্যাম্প-১ এর আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে না।