সুজাউদ্দিন রুবেল :
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বাস্থ্যবিধি। ক্যাম্পে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্পের বাজার। মানা হচ্ছে না কোনো ধরণের সামাজিক দূরত্ব। ব্যবহার হচ্ছে না মাস্ক কিংবা হাত গ্ল্যাভসের। জড়ো হয়ে বাজার করছে শত শত রোহিঙ্গা।
লম্বাশিয়া ক্যাম্প। প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া রোহিঙ্গার ঘর ও আশপাশের এলাকায় টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। কিন্তু সেখানেও রোহিঙ্গারা মানছেন না কোনো নির্দেশনা। ফলে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দিনরাত মাইকিং করছে পুলিশ।
ক্যাম্পে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়রাও রয়েছেন চরম আতংকের মধ্যে।
তবে ক্যাম্পগুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি এক কর্মকর্তার।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে চিকিৎসকদহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ক্যাম্পে প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী স্থাপন করেছে জীবাণুমুক্তকরণ বুথ। আর উখিয়া-টেকনাফের ১১টি স্থানে তৈরি করা হচ্ছে ১ হাজার ৯ শো বেডের আইসোলেশন ইউনিট।