ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৫/০৬/২০২৩ ৮:১১ এএম

টেকনাফের লবন ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহর (৫৫) সঙ্গে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর গ্রামের সুমি আক্তারের (২৫)। আব্দুল্লাহকে ‘বাবা’ ডাকতে শুরু করেন সুমি। এরপর প্রায় বাবা-মেয়ের মতো কথা হতো তাদের। দেড় মাসের সম্পর্কে আব্দুল্লাহকে নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেন কথিত মেয়ে।

দাওয়াতে সাড়া দিয়ে নান্দাইলে আসেন আব্দুল্লাহ।
বেড়াতে আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন এটি বড় ‘ফাঁদ’। তাকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে চাওয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন শুরু করেন অপহরণকারীরা।

বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয় তাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে নির্যাতন থেকে রক্ষা পান আব্দুল্লাহ।
এদিকে আব্দুল্লাহর পরিবার টেকনাফ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে আব্দুল্লাহর খোঁজ শুরু করে পুলিশ।

প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে পুলিশ আব্দুল্লাহকে উদ্ধার এবং সুমিসহ তিনজনকে আটক করে।
রবিবার ভোরে নান্দাইল উপজেলার শেরপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের মোবাইল জব্দ করলে মেলে আব্দুল্লাহকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও। আটক সুমি শেরপুর গ্রামের মাজাহারুলের স্ত্রী।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। সময়মতো তাকে (আব্দুল্লাহ) উদ্ধার করতে না পারলে বড় বিপদ ঘটতে পারতো। আটককৃতদের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত