উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১/১২/২০২২ ৭:৫৪ এএম , আপডেট: ০১/১২/২০২২ ৯:৪৯ এএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফর করবেন এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ প্রদান করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল ও স্বার্থক করতে কক্সবাজারের সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধরণ সম্পাদক, কক্সবাজার পৌরসভার ওয়ার্ডের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহাবুুব উল আলম হানিফ এম.পি, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন-আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে সারা বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল। সে সময় খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, নিজামী, মুজাহিদ জোট সরকার দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য করেছিল। সারা দেশ অরাজকতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয় করণ, সন্ত্রাসে পরিপূর্ণ ছিল। তখন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশ পরিচালিত হতো না, দেশ পরিচালিত হতো হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়ার ইচ্ছায়। তৎকালীন সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারেক রহমান মুছলেখা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এখনও সাজা প্রাপ্ত আসামী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন-২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ আলো দেখতে শুরু করে। তার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করে। দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অনেক মেঘা প্রকল্পের সুফল বর্তমানে মানুষ পাচ্ছে। তিনি মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। তার আমলে মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা, পুষ্টি, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যাপক অর্থ বরাদ্ধ বাড়ানো হয়েছে। লক্ষ লক্ষ গৃহহীনদের গৃহ প্রদান করা হয়েছে এবং জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। তার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং জনহিতকর কর্মকান্ডের জন্য মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশে^ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি বলেন-জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের আন্তরের অন্তস্থলে অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন ৭ ডিসেম্বর পুরো কক্সবাজার শহর জনসভাস্থলে পরিণত হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবু সাইদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের পাশাপাশি কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি দেশের অন্য এলাকার চাইতে কক্সবাজারে বেশি মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন-মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ, গভীর সমুদ্র বন্দর, সাব মেরিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এল.এম.জি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিশে^ বিশেষ মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন-৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারবাসী তার প্রতিফলন হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র উন্নয়ন নয় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে দেশ ও জাতির ভাগ্যে উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচেছন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সংস্কার করেছেন। তিনি কওমী মাদরাসার সনদকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। তিনি দেশের ইসলামের প্রসার ও ইসলামের গবেষণার জন্য একই ডিজাইনের ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল কর্মকান্ড জনকল্যাণমূলক। তিনি আশা প্রকাশ করেন লক্ষ লক্ষ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে ৭ ডিসেম্বর শহীদ শেখ কামাল স্টেডিয়াম।
সভায় বক্তব্য রাখেন, আলহাজ¦ সাইমুম সরওযার কমল এমপি, আলহাজ¦ আশেক উল্লাহ এম,পি, আলহাজ¦ জাফর আলম এম,পি, উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে নজিবুল ইসলাম, আবু তালেব, সিরাজুল ইসলাম বাবলা, মাহামুদুল করিম মাদু, শামশুল আলম মন্ডল, আবুল কাসেম, উজ্জ্বল কর, এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, আলহাজ¦ মোহাম্মদ তাহের, তারেক বিন ওসমান, টিপু সুলতান চেয়ারম্যান, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, নুরুল বশর, নুরুল হুদা, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, আতিক উদ্দিন চৌধুরী, সোহেল আহমদ বাহাদুর, এস.এম. সাদ্দাম হোসেন, হামিদা তাহের, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, মারুফ আদনান, রাশেদ মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যান প্রমুখ

পাঠকের মতামত