মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনে এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ফরম জমা দিয়েছেন আবদুর রহমান বদি, বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীনা আক্তার, বদির শ্যালক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কারণে এ আসনটি দেশে-বিদেশে পরিচিত। ২০০৮ সালে এই আসনে আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নানাভাবে বিতর্কিত হলে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আ. লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। পরে তাঁর স্ত্রী শাহীনা আক্তার নৌকা প্রতীকে ওই আসন থেকে নির্বাচিত হন।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি আবদুর রহমান বদি। এবার মামলার কারণে নির্বাচন করতে সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উখিয়া ও টেকনাফে আমার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি দলে নেই।’
এবার দলীয় মনোনয়ন তিনি পাবেন দাবি করে বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষকে চাল–ডাল–তেলসহ নগদ অর্থসহায়তা দিয়ে আসছি এবং এলাকার উন্নয়ন করেছি। অনেকেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন।’
তার বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে স্ত্রী শাহীনা আক্তারও আবার মনোনয়ন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে বদির শ্যালক উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। তিনি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনিও সংসদ সদস্য হতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সঙ্গে আছি। এখন দলের মনোনয়ন চেয়েছি। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাব।’
এ ছাড়াও কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রাজা শাহ আলম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এই চারজন দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীনা আক্তার এলাকায় সময় না দেওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। তারা এই আসনে এবার দলীয় প্রার্থী বদলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব আসনেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। সবার আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। তিনি বিবেচনা করবেন।’ সুত্র: আজকের পত্রিকা