প্রকাশিত: ২২/০৫/২০২২ ২:৩৬ পিএম

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসেন দেশ-বিদেশের লাখো পর্যটক। সৈকতের নিরিবিলি পরিবেশে শান্তি খুঁজতে সপরিবার আসেন তারা। কিন্তু এমন স্থানে পর্যটকরা পড়ছেন কিছুটা বিপাকে। কারণ বেওয়ারিশ কুকুরের দল অতিষ্ঠ করে তুলছে পর্যটকদের।

সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন, বেওয়ারিশ কুকুর এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। সৈকতের প্রায় পুরো এলাকায় কুকুরের আনাগোনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সবাইকে।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েক বছর কম দেখা গেলেও হঠাৎ এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কুকুরের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে হচ্ছে ভয়ে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকে ঘুরতে আসা শিশুরা। ১২০ কিমি দীর্ঘ আয়তনের সৈকতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি কুকুর রয়েছে বলে দাবি তাদের।

সৈকতে ঝিনুক ব্যবসায়ী মনবজুর আলম জানান, সৈকতে হঠাৎ কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। তাই কুকুরের কারণে পর্যটকরাও দোকানে আসতে চায় না। শিশুরা কুকুর দেখলে দ্রুত চলে যেতে চায়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জিকু বলেন, কক্সবাজার এসেছি সমুদ্রপাড়ে সময় কাটাতে। কিন্তু এখানে এসে আরও বিপাকে পড়ে গেলাম। খাবার হাতে নিলেই পিছু নেয় কুকুরগুলো। যেকোনো সময় কামড় দেওয়ার আতঙ্কে থাকি।

রংপুর থেকে সপরিবার আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা দিয়ে বিচের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুইটা কুকুর কাপড় কামড়ে ধরে। ওই সময় পুলিশ বক্সে থাকা পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এতে আমার ১২ বছরের শিশুকন্যা আলভীর ভয়ে জ্বর চলে আসে।

নাদিয়া ইসলাম নামে একজন জানান, বিচে নামার পর থেকে একটি কুকুর পিছু ছাড়ছে না। শেষ পর্যন্ত হাতের খাবারগুলো কুকুরকে দিয়ে রক্ষা পেতে হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে সাধারণত সৈকতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তবে হঠাৎ উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় কুকুরগুলোকে অন্য জায়গায় হস্তান্তরের চিন্তাভাবনা করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...