উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫/১২/২০২২ ৭:৩৮ পিএম

সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা তৈরি করতে এবার কক্সবাজারে প্লাস্টিক দানব তৈরি করছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এর আগে গেল বছর সেন্টমার্টিনে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে একটি মাছের ভাষ্কর্য তৈরি করেছিল শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগ। কিন্তু সংবাদের শিরোনাম হলেও পরবর্তীতে দেখভালের অভাবে সেটি ভেঙে জোয়ারের সঙ্গে সমুদ্রে গিয়ে উল্টো দূষণ চড়ায়।

এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে এই দানবটি তৈরি করা হচ্ছে। নমুনা প্রদর্শনী হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দানবটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে। তবে বিদ্যানন্দ জানিয়েছে প্রদর্শনীর পর প্লাস্টিকগুলো পুনরায় ব্যবহার উপযুক্ত করাবেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এবং টুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এই প্লাস্টিক দানবটি। দানবটি তৈরিতে ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক গত ৭ দিন ধরে কাজ করছেন।

প্লাস্টিকের দানব তৈরির মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী আবির কর্মকার। তিনি বলেন, প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করতে এরই মধ্যে ২০ বস্তা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৭ দিন ধরে দিনরাত কাজ করে এ দানব তৈরি করছি। এর উচ্চতা ৩৮ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। আমি, শুভ্র বাড়ৈ, নির্জর, সাব্বির, বিদ্যানন্দের ৮ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৪ জন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে এই প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করছি। মূলত মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ দানব তৈরি করা হয়েছে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আকরাম হোসেন শাহীন বলেন, চলমান পরিবেশ দূষণবিরোধী ক্যাম্পেইনে সংগৃহীত প্লাস্টিক দিয়ে আমরা কক্সবাজার সৈকতে একটি ‘দানব’ তৈরি করছি। ধারণা করা হচ্ছে, এই দানব হবে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে বড় স্ট্যাচু। এর মাধ্যমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন মানব সমাজকে একটি বার্তা দিতে চায় যে, প্লাস্টিকের ফলে পরিবেশ যে হারে দূষিত হচ্ছে তা ধীরে ধীরে দানবে রূপ নিচ্ছে। আর এই দানবই পরবর্তীতে মানবসমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই, মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সালমান খান বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন থেকে গত কয়েকদিনে প্রায় ৫ টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছি। কক্সবাজার থেকেও সংগ্রহ করেছি। এগুলি দিয়ে একটি দানব তৈরি করে মানুষকে মেসেজ দিচ্ছি যে আমরা প্লাস্টিক দূষণ করে নিজেদের বিরুদ্ধে দানব তৈরি করছি। প্রদর্শনী শেষে আমরা এই প্লাস্টিকগুলো রিসাইকেল করে এমন প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দিবো। যেন কোনোভাবে এটি আবার সমুদ্রে না যায় সে ব্যপারে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে এবং থাকবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...