প্রকাশিত: ০৮/০৪/২০২০ ৫:২০ পিএম
পুরো দলবল ফিরে এলো লাল কাঁকড়ারা

পুরো দলবল ফিরে এলো লাল কাঁকড়ারা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকশূণ্য। এই সুযোগে ডলফিনেরা সাগরের নীল জলে জলকেলি খেলছে। সৈকতের অনেকাংশ দখল করেছে সাগরলতা। এবার পুরো দলবল ফিরে এলো লাল কাঁকড়ারা। সূর্যের তাপে বালু উত্তপ্ত হয়ে গেলেই দেখা মেলে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ।
মাসখানেক আগেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দাপিয়ে বেড়াতেন। মানুষের পায়ের চাপে সৈতকের বালু হয়ে ওঠে কার্পেটের মতো! এখন জনশূণ্য সৈকতে মনোমুগ্ধকর আলপনা আঁকছে কাঁকড়ার দল। যেন অবচেতন মনের কোনো শিল্পীর ক্যানভাস সদৃশ এ দৃশ্য। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তে সৈকতের লাল কাঁকড়ার মহড়ার অনিন্দ্য সৌন্দর্য মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলবে যে কাউকে।

একসময় কক্সবাজার সৈকতে ছিল অসংখ্য খোলামেলা বালিয়াড়ি ও সারিবদ্ধ ঝাউবীথি। ভোরবেলায় বালিয়াড়িতে দেখা মিলতো লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বালিয়াড়ির অসংখ্য গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতো লাখ লাখ কাঁকড়া। এখন সেগুলোতে গড়ে উঠেছে বড় বড় হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। তারপরও যতটুকু জায়গা খালি আছে, এখন সেখানে দেখা যাচ্ছে আগের সেসব দৃশ্য।সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত দেড় দশকে পর্যটক ও স্থানীয়দের অবাধ বিচরণে বিপন্ন হচ্ছিল এই সৈকতের প্রাণ ও প্রকৃতি। হুমকির মুখে ছিল জীববৈচিত্র্য। এখন সাগরলতা বেড়েছে। লাল কাঁকড়া দেখা যাচ্ছে দশগুণ বেশি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটক নিষেধাজ্ঞার সময়ে সৈকতে মানুষের পদচারণা কমে এসেছে। সেই সুযোগে সাগরলতা ও লাল কাঁকড়া ফিরে এসেছে দেখে সত্যিই অভিভূত হয়েছি। তাই আমরা এটাকে সংরক্ষণের উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি।

পাঠকের মতামত

একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন দেশের ভ্রমণপিপাসু অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ...